ভোলার তজুমদ্দিনে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে ডুবে মৃত্যু ৭ বছরের শিশুর, এলাকাজুড়ে শোক ও কৌতূহল
ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের পশ্চিম শশীগঞ্জ গ্রামে মায়ের সঙ্গে গোসল করতে গিয়ে পুকুরে ডুবে মারা গেছে ৭ বছর বয়সী শিশু মো. হোসেন। মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুর ২টার দিকে গ্রামের ভাওয়াল পুকুরে ঘটে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
শিশুটি স্থানীয় বাসিন্দা মো. হালিম মাঝির পুত্র। মা–ছেলে প্রতিদিনের মতো ওইদিনও গোসল করতে গিয়েছিলেন। কিনারায় সাঁতার কাটার একপর্যায়ে হোসেন হঠাৎ পানিতে তলিয়ে যায়।
শিশুটির মা সাংবাদিকদের জানান:
“আমি গোসল করছিলাম, হোসেন পাশে খেলছিল। হঠাৎ দেখি, সে ডুবে যাচ্ছে। আমি বারবার হাত বাড়ালেও তাকে টেনে তুলতে পারিনি। মনে হচ্ছিল কেউ যেন ওকে নিচের দিকে টেনে নিয়ে গেল।”
বিকেল সাড়ে ৩টায় ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে ডুবুরি দল ডাকেন।
স্থানীয়রা জাল ও বাঁশ দিয়ে টানা প্রায় ৭ ঘণ্টা ধরে খোঁজ চালান।
বরিশাল থেকে রাত সাড়ে ৮টায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল এসে মাত্র ১০ মিনিটে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে।
মর্মান্তিক এই ঘটনায় এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া।
দূর-দূরান্ত থেকে প্রায় ৫ হাজার মানুষ ঘটনাস্থলে ভিড় জমায়।
শিশুটির মায়ের কথায় “কারো টেনে নেওয়া” প্রসঙ্গ উঠায় জনমনে নানা গুজব ও কৌতূহল ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা শিশুটির পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন। কেউ কেউ বলছেন, পুকুরটিতে আগেও অনুরূপ ঘটনা ঘটেছে, যা নিয়ে ভৌতিক কল্পনা বা অতিপ্রাকৃত জল্পনা এলাকাবাসীর মাঝে ছড়িয়ে রয়েছে।