নসিহতমূলক বক্তব্যের পরপরই দোয়া পরিচালনা করেন ভারতের শীর্ষস্থানীয় মুরুব্বি মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা সাহেব।
গাজীপুরের টঙ্গীতে তুরাগ নদের তীরে পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলার দোয়ার মাধ্যমে তাবলিগ জামাতের মাওলানা জোবায়েরের অনুসারীদের এই জোড় ইজতেমা শেষ হয়।
আয়োজক (শুরায়ী-নেজাম) তাবলীগ জামাত বাংলাদেশের মিডিয়া সমন্বয়কারী হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, দোয়ায় শরিক হওয়ার জন্য সকাল থেকেই ঢাকা, গাজীপুর এবং আশপাশের এলাকা থেকে বিপুল ধর্মপ্রাণ মুসলিম ময়দানে আসেন। সকাল ৯টা ৫ মিনিটে দোয়া শুরু হয়ে ৯টা ২০ মিনিটে শেষ হয়।
এর আগে যারা তাবলীগে বের হবেন তাদের জন্য জোড় ইজতেমার শেষ দিন ফজর থেকে দিকনির্দেশনা মূলক হেদায়তি বয়ান করেছেন ভারতের (বোম্বে) মাওলানা আব্দুর রহমান সাহেব। তা বাংলায় তরজমা করেছেন মাওলানা আব্দুল মতিন।
এরপর নসীহত মূলক বক্তব্য পেশ করছেন, ভারতের শীর্ষস্থানীয় মুরুব্বি মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা সাহেব। এবং তার তরজমা করেছেন মাওলানা জুবায়ের সাহেব (বাংলাদেশ)।
নসিহত মূলক বক্তব্যের পরপরই দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা সাহেব।
এর আগে শুক্রবার ফজরের পর এই জোড় উজতেমার শুরু হয়েছিল।
ইজতেমা ময়দানে অবস্থানরত মুরুব্বিরা জানান, প্রতি বছর ইজতেমার পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে এই জোড় ইজতেমা হয়ে থাকে। এখানে তাবলিগের সাথীরা পুরো বছরের কাজের কারগুজারি ও বড়দের রাহবারি নেওয়ার সুযোগ পান। যার জন্য পুরো বছর ধরে তারা অপেক্ষায় থাকেন।
এবারের জোড় ইজতেমার অংশগ্রহণ করেছেন মাওলানা জোবায়ের পন্থিরা। এরপর ২০ থেকে ২৪ ডিসেম্বর জোড় ইজতেমায় অংশগ্রহণ করবেন মাওলানা সাদপন্থিরা।