রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত ‘দুই দিনব্যাপী চৈত্রসংক্রান্তি ও বৈশাখ উদ্যাপন’ অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার চৈত্রসংক্রান্তিতে নারীদের অবদানকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে বলেন, “নারীরাই জানেন কোথায় কোন শাক ফলে, কোন শাক কীভাবে রান্না করতে হবে। কচু শাক কোন জায়গা থেকে তুললে গলা ধরবে না, তাও নারীরাই জানেন।”
তিনি আরও বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানের পর যে বাংলাদেশ তৈরি হয়েছে, সেখানে উন্নয়ন যেন কেবল বহুতল ভবন ও গাড়ির মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে। আমাদের উন্নয়ন প্রকৃতি ও প্রাণকেন্দ্রিক হতে হবে, যাতে সংক্রান্তিতে শাক খুঁজতে না হয় কষ্ট করে।”
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার বলেন, “জনগণের সংস্কৃতি তুলে ধরা অত্যন্ত জরুরি। এর মধ্য দিয়েই বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে কল্পনা করা যায় এবং শক্তিশালী সমাজ ও রাষ্ট্র গড়া সম্ভব।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা শহর গড়তে গিয়ে প্রকৃতি ধ্বংস করছি, প্রাণ হারাচ্ছি। এই ইটের জঙ্গল আমাদের জীবনের স্বাভাবিকতা কেড়ে নিচ্ছে।”
অনুষ্ঠানে শাক সংগ্রহ, পাঁচমিশালি শাকের বড়া ও রান্নার ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। দুপুরে পরিবেশন করা হয় ১৪ রকমের শাক, ভাত ও ভর্তা।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের অধ্যাপক সুমন রহমান, নাটোরের কৃষক নিহার বেগম, ঈশ্বরদীর কুমার লক্ষ্মী পাল, এবং কবি ফেরদৌস আরা রুমীসহ আরও অনেকে।