ই ক্যাব থেকে একদল মেম্বারদের অভিযোগ বিগত সময় এর দোষর রা আবার নতুন করে রুপ বদলে বি এন পি এর বিভিন্ন নেতা কর্মী দের কে ব্যবহার করে ক্ষমতায় আসার চেস্টা পক্রিয়াধীন।পলক, সমি কায়সার ও তমাল রা চলে গেলেও তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন ও ই ক্যাব এর সকল তথ্য পেতে একদল মেম্বার তাদের সহোযোগিতা করে আসছে ৫ ই আগাস্ট এর পর থেকে
ই ক্যাব দীর্ঘ দিন সমী কায়সর ও তমাল দের হাতে এক কেন্দ্রিক ক্ষমতায় থাকায় মেম্বার দের মনে অনিহা চলে আসে। ৫ ই আগস্ট সরকার পতন এর পর বৈষম্য বিরোধী ই ক্যাব ও মেম্বার রা ই ক্যাব কে নতুন করে সাজানোর প্রচেস্টা করে।পরবর্তী বানিজ্য মন্ত্রনালায় প্রশাষক নিওগ দিয়ে মেম্বার দের চাওয়া ও চাহিদা নিয়ে কথা বলে এবং মেম্বার দের কে আস্বাস দেয়া হয়
এখন আবার সেই সৈরাচার সরকার এর দোষর রা চাচ্ছে দলীয় হাত ধরে আবার ই ক্যাবে এসে তাদের এক তরফা কার্যক্রম চালাতে। মেম্বার দের আস্বাস যদি সুস্ঠ নির্বাচন হয় এবং যোগ্য প্রার্থী রা জয়ী হয় তাহলে ই ক্যাব আবার মেম্বার বান্ধব হবে।
একাধিক মেম্বার দের সাথে কথা বলে জানা গেছে মেম্বার দের কে ভোট প্রধানের সুযোগ দিলে যোগ্য ব্যাবসাই এবং ব্যাবসা বান্ধব ই ক্যাব পরিচালনায় যোগ্য প্রাথী দের কে বিজয়ী করার সুযোগ থাকবে
বর্তমানে যারা নমিনেশন নিয়েছে তারা বিগত সরকার সময় ও আওয়ামী প্যানেলে নির্বাচন করা ব্যাক্তি রা আবার নমিনেশন নিয়ে আওয়ামী দোষর দের ক্ষমতায় বসানোর পায়তারা করতেছে।তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন বরাবর চিঠি দিয়েছে। মেম্বার দের বক্তব্য হলো বিগত সময় যারা ই ক্যাব কে লুটে খাওয়া ব্যাক্তি রা যদি আবার ক্ষমতায় আসে তাহলে ৫ ই আগস্টের কস্ট বৃথা যাবে এবং ৫ ই আগাস্টের আহত নিহত ব্যাক্তিদের সাথে ও দেশের সাথে বেইমানি করা হবে।তাই মেম্বার রা চাচ্ছে নিরপক্ষ লোক ও সুস্ঠ নির্বাচন
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর গত ১৩ আগস্ট ই-ক্যাবের সভাপতির পদ থেকে শমী কায়সার পদত্যাগ করেন। এরপর পদত্যাগ করেন কার্যনির্বাহী পর্ষদের সব সদস্য। ফলে সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য গত ১১ সেপ্টেম্বর ই-ক্যাবে প্রশাসক নিয়োগ দেয় সরকার। সে সময় বলা হয়েছিল, প্রশাসক ১২০ দিনের মধ্য সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করবেন। তবে ১২০ দিন পার হয়ে গেলেও ই-ক্যাব নির্বাচন হয়নি।
তফসিল ঘোষণার বিষয়ে মুহাম্মদ সাঈদ আলী আজ বলেন, ‘আমরা অবশ্যই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করছি। আর এটা হবেই। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন বোর্ড ও আপিল বোর্ড সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে। আর সরকারি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও আমাদের সহযোগিতা করবে। আশা করছি ভালো কিছু হবে।’
নির্বাচনের তফসিলের তথ্যমতে, ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সদস্যপদ নবায়ন ও প্রাথমিক ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করা হয়েছে এরপর বিভিন্ন যাচাই-বাছাই শেষে ১৩ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে । এরপর ১৫ তারিখ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিল কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং ৯ এপ্রিল বৈধ প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করা হবে। নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব তরফদার সোহেল রহমান। অন্য সদস্যরা হলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. হাফিজ-আল-আসাদ ও শাহাদাৎ হোসেন।
সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ করে বলেন, ইক্যাবের নির্বাচনের জন্য যে প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে এদের মধ্যে হোসনে আরা নূরী নওরীন বিগত শমী-তমাল কমিটিতে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছেন। এমনকি গাড়িতে চড়ে বেড়ানো এই উদ্যোক্তাও পেয়েছেন নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ৫০ হাজার টাকার অনুদান। ২০২৪ সালে বাংলাদেশ ভারত ফ্রেন্ডশিপ অ্যাওয়ার্ড পায় এই উদ্যোক্তা। এদিকে জাহিদুজ্জামান সাঈদ বিগত সরকারের আমলে ডিজিটাল পল্লী নামের প্রকল্পে কনসালট্যান্টের কাজ করেছেন। একটি অনলাইন পোর্টালে শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শিরোনামে টকশোর সঞ্চালক ছিলেন তিনি। এ ছাড়া নুরুজ্জামান আওয়ামী ঘনিষ্ঠ মো: সবুর খানের প্রতিষ্ঠিত ডেফোডিল গ্রুপের গ্রুপ সিইও হয়ে কাজ করছেন দীর্ঘদিন। এ ছাড়া নুর নবী হাসান ও মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন শিপন গত বছর শমী কায়সারের নেতৃত্বাধীন অগ্রগামী প্যানেলের হয়ে নির্বাচন করেছেন। এদের নিয়ে নির্বাচনের প্যানেল গঠন করে কাজ করছেন একদল আওয়ামী ঘরানার উদ্যোক্তা