চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস নিশ্চিত করেছে যে পাকিস্তান একটি বিস্তৃত সামরিক অভিযান শুরু করেছে, যার নাম “অপারেশন বুনইয়ান-উন-মারসুস” (বাংলা অর্থ: “কংক্রিট কাঠামো”)। এই অভিযানের লক্ষ্য ভারতজুড়ে একাধিক উচ্চ-মূল্যবান সামরিক স্থাপনা।
পাকিস্তান সরকার জানিয়েছে, এই পদক্ষেপটি এসেছে ভারতের ধারাবাহিক উস্কানির প্রতিক্রিয়া হিসেবে। শনিবার ভোরে পাকিস্তানি সামরিক সূত্রগুলো নিশ্চিত করে যে, ভারতের বিভিন্ন স্থানে সক্রিয় হামলা চলছে।
প্রাথমিক হামলায় ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের বেয়াস এলাকায় অবস্থিত ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের গুদাম ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। গ্লোবাল টাইমস সূত্রে চীনা বার্তা সংস্থা সিনহুয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিশ্লেষকরা এই ঘটনাকে দক্ষিণ এশিয়ার দুই পরমাণু শক্তিধর দেশ—ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার ভয়াবহ বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখছেন। হামলার ব্যাপকতা, নির্ভুলতা এবং প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
এখনও পর্যন্ত ভারত সরকার এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি, যদিও পাঞ্জাব, রাজস্থান, গুজরাট ও অধিকৃত কাশ্মীর থেকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।
চীনা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পাকিস্তানের এই অভিযানে উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি ও নজরদারি ড্রোন ব্যবহৃত হয়েছে, যার ফলে উত্তর ভারতের বহু সামরিক স্থাপনায় বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে।
“বুনইয়ান-উন-মারসুস” নামটি শুধু একটি সামরিক মিশনের নাম নয়, বরং এটি পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর ঐক্য, শৃঙ্খলা ও শক্তির প্রতীক হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলো উভয় পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে।
চীনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বেইজিং তাদের কৌশলগত স্বার্থ বিবেচনায় দক্ষিণ এশিয়ার পরিস্থিতির ওপর নিবিড় নজর রাখছে।