দেশ ও জাতির উন্নয়নে কাজ করার লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লিডারশিপ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির উপদেষ্টা অধ্যাপক মোহাম্মদ সিদ্দিক হোসাইন এবং প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এসএমডি জিদানের যৌথ উদ্যোগে একটি রাজনৈতিক দল গঠিত হয়েছে। ‘স্বাধীন হতে স্বাধীন হও’ স্লোগানকে ধারণ করে গঠিত এই দলটির নাম নিউক্লিয়াস পার্টি অব বাংলাদেশ (এনপিবি)।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থগারের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই দল গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়। পাশাপাশি, নব গঠিত এই দলের পক্ষ থেকে দেশের বন্যাকবলিত এলাকার বন্যার্তদের সহায়তা প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য প্রদান করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লিডারশিপ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এসএমডি জিদান। তিনি বলেন, আমাদের সংগঠনের মূলনীতি হলো – বৈষম্যমুক্ত এবং নিরাপদ বসবাসযোগ্য রাষ্ট্র বিনির্মাণ। অর্থাৎ এমন একটি দেশ গড়ে তোলা হবে, যেখানে প্রতিটি মানুষ সমানভাবে জীবন যাপন করতে পারবে, থাকবে না কোনো বৈষম্য, থাকবে না কোনো আহাজারি, থাকবে না কোনো জুলুম, অত্যাচার ও নিপীড়ন, থাকবে শুধু শান্তি, শৃঙ্খলা আর হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসা।
তিনি বলেন, আমরা স্বাধীন-সার্বভৌম একটি রাষ্ট্র পরিপূর্ণভাবে জনগণের হাতে রেখে এমনভাবে পরিচালনা করার স্বপ্ন দেখছি, যাতে মানুষের সব অধিকার বজায় থাকে এবং কোনো উপায়েই জনগণের অধিকার যেন ক্ষুণ্ন না হয়। কারণ জনগণই হলো রাষ্ট্রের প্রকৃত মালিক। তাই সঠিক ও সুপরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্রের তিনটি শাখা পরিচালনা করে দেশের অভ্যন্তরীণ সব ধরনের বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধ করে আমরা জনগণের হাতে রাষ্ট্রের প্রকৃত ক্ষমতা অর্পণ করব। যাতে করে দেশের প্রতিটি নাগরিক রাষ্ট্রীয় প্রত্যক্ষ সুবিধা গ্রহণ করতে পারে। আর এ সব কার্যক্রম বাস্তবায়নে প্রয়োজন জনগণের জন্য জনগণের দ্বারা সৃষ্ট প্রতিষ্ঠান। এ কারণে আমরা বিশ্ব শান্তি, জনগণের জীবনমান উন্নয়ন, অর্থনৈতিক মুক্তি ও বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠনের জন্য রাজনৈতিক দল গঠনে একমত হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা দলটিকে এমনভাবে গড়ে তোলার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছি যে, এই দলটি জাতির বিবেক ও পাহারাদার হয়ে জনগণের দেশ জনগণের হাতে রেখে সব আইন ও শাসন ব্যবস্থা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করবে এবং অন্যদের সহযোগিতা করবে যাতে করে দেশ সর্বদা জনগণের হাতে থাকে ও সুষ্ঠুভাবে শাসিত হয়। নিউক্লিয়াস পার্টি হবে ন্যায় ও সাম্য প্রতিষ্ঠার ধারক বাহক।
এসএমডি জিদান বলেন, প্রতিবেশী দেশ যেভাবে আন্তর্জাতিক নদীতে বাঁধ নির্মাণ করে প্রতিবছর বাংলার মানুষের ব্যাপক জান-মালের ক্ষতি সাধন করে যাচ্ছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। তাই এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান আমাদেরই করতে হবে। আমরা আর পানিতে ডুবে মরতে চাই না। উন্নয়নের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা বিধান করা। যে উন্নয়ন মানুষের জীবন রক্ষা করতে পারে না, সেটি উন্নয়ন নয়।
তিনি বলেন, উন্নয়নের নামে বোকা বানিয়ে জনগণকে শোষণ করে আসছে সব সরকার। তাই এখন থেকে আমরা সচেতন থাকব এবং নিজেদের অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হব। নিজেদের দক্ষতা এবং প্রজ্ঞার মাধ্যমে দেশ ও জাতির জীবন রক্ষার্থে পরিকল্পনা করে উন্নয়ন প্রকল্প অব্যাহত রাখব। এই মুহূর্তে বন্যা দুর্গতদের পাশে আমরা দাঁড়িয়েছি, আপনারাও দাঁড়ান এবং আমাদের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছি। সবাই যার যার অবস্থান থেকে বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়ান।