দেখে বা শুনে অনেকে অবাক হতেই পারেন—”গোবর লেপে ঠাণ্ডা করার চেষ্টা?” কিন্তু এই হাস্যকর ও বিতর্কিত ঘটনাটি বাস্তবেই ঘটেছে ভারতের রাজধানী দিল্লির রানি লক্ষ্মীবাই কলেজে।
কলেজের প্রিন্সিপাল প্রত্যুষ বৎসলা সম্প্রতি শ্রেণিকক্ষ ঠাণ্ডা রাখার প্রাকৃতিক উপায় হিসেবে দেয়ালে গোবর লেপে দেন। তার দাবি ছিল, এটি একটি গবেষণার অংশ—“Study of Heat Stress Control by Using Traditional Indian Knowledge”—যার ফল এক সপ্তাহ পর বোঝা যাবে।
এই ঘটনা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে, ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। শিক্ষার্থীরাও বিষয়টি সহজভাবে নেয়নি, আর যা হওয়ার তাই হলো—প্রিন্সিপাল যে ভাষায় বার্তা দিয়েছিলেন, ছাত্ররাও সেই ভাষাতেই জবাব দিলো।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সদস্যরা একদিন হাজির হন কলেজে, সঙ্গে পলিথিন ভর্তি গোবর। তারা প্রিন্সিপালকে খুঁজতে থাকেন, তবে একজন ভাইস প্রিন্সিপাল জানান, তিনি তখন রুমে নেই।
তবু ছাত্রদের থামানো যায়নি। ছাত্র সংসদের প্রেসিডেন্ট রোনক ক্ষেত্রী প্রশ্ন ছুঁড়েন—“শ্রেণিকক্ষে গোবর লেপার আগে কি ছাত্রদের সম্মতি নেয়া হয়েছিল?” কোনো সন্তোষজনক উত্তর না পেয়ে তারা ঠিক করলেন, এবার প্রিন্সিপালের রুমেই ‘প্রাকৃতিক শীতলীকরণ’ ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
এক পর্যায়ে প্রিন্সিপালের কক্ষের দেয়ালেই গোবর লাগিয়ে দেন ছাত্ররা। সেই সময় রোনকের এক মন্তব্য ভাইরাল হয়—
“আমাদের বিশ্বাস, ম্যাডাম এখন তার রুম থেকে এসি খুলে ছাত্রদের হাতে তুলে দেবেন। এই গোবর মাখা আধুনিক ঘর থেকেই কলেজ পরিচালনা করবেন।”
ঘটনাটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কলেজের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য ও অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর নীলমও। তার বক্তব্য,
“অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের অনুমোদন ছাড়া এমন সিদ্ধান্ত কীভাবে নিলেন প্রিন্সিপাল? কলেজের শ্রেণিকক্ষে যেকোনো পরিবর্তনের জন্য অনুমোদন জরুরি।”