৫ অগাস্টের পর একটি চক্র অবৈধভাবে নদীর বালু-পাথর লুট করে আসছে।
সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী যাদুকাটা নদীতে ড্রেজার মেশিনে দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় নৌকাসহ ১৭টি শেইভ মেশিন জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। তবে এ ঘটনায় কেউ আটক হয়নি।
মঙ্গলবার নদীর খ্যাত ঘাগটিয়া (পাক্কার মাথা) এবং লাউড়েরগড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব জব্দ করা হয় বলে জানান তাহিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামস সাদাত মাহমুদ উল্লাহ।
পরিবেশবিদদের অভিযোগ, ৫ অগাস্টের পর একটি চক্র যাদুকাটা নদীর বালুপাথর লুট করে আসছে। প্রতিদিন ড্রেজার মেশিনে বালু ও পাথর আহরণ করে চক্রটি লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
পরিবেশ বিধ্বংসী মেশিনে বালু ও পাথর আহরণ করায় নদীতীরবর্তী গ্রাম ঝুঁকিতে পড়েছে। বদলে যাচ্ছে নদীর গতিপ্রকৃতি। প্রশাসন মাঝে মধ্যে অভিযান চালালেও প্রশাসনের একটি অংশ বালু পাথর লুটকারীদের সঙ্গে জড়িত বলে সচেতন মহলের অভিযোগ।
সুনামগঞ্জের শ্রমিক নেতা সাইফুল আলম সদরুল বলেন, “আমরা প্রতিটি বালু পাথর মহাল ইজারা বন্ধ করতে বলেছি। সনাতন পদ্ধতিতে বালু-পাথর আহরণসহ নদীতে ভলগেট বন্ধ করার দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছি।
“প্রশাসন মাঝে মধ্যে লোক দেখানো অভিযান চালালেও এতে প্রশাসনেরই বিভিন্ন স্তরের কিছু লোক জড়িত। প্রচলিত ইজারা বাতিল করে সনাতন পদ্ধতিতে বালু-পাথর আহরণ হলে পরিবেশ বিধ্বংসী মেশিন বন্ধ হবে। না হলে এগুলো চলবেই।”
মঙ্গলবারের অভিযান সম্পর্কে তাহিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার শামস সাদাত মাহমুদ উল্লাহ বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে যাদুকাটা নদীর ঘাগটিয়া ও লাউড়েরগড় এলাকায় নিষিদ্ধ শেইভ মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করেছে একটি চক্র।
গোপন খবর পেয়ে পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে ১৭টি অবৈধ শেইভ মেশিন জব্দ করা হয়েছে। তবে প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িতরা নৌকাসহ শেইভ মেশিন ফেলে পালিয়ে যায়।
জব্দ করা শেইভ মেশিন বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে জানান উপজেলা সহকারী কমিশনার।