২৯ জুন শেষ হবে পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এর অল্প কিছুদিন পরই ৩রা অক্টোবর বাংলাদেশের মাটিতে শুরু হতে যাচ্ছে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। উদ্বোধনী দিনেই স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে অভিযান শুরু করবে বাংলাদেশ। দেশের মাটিতে নিজেদের সেরাটা দিতে প্রস্তুত টাইগ্রেসরা। জ্যোতি দেশের হয়ে ৯০টি টি-টোয়েন্টিতে করেছেন ১৮০২ রান। বিশ্বকাপেও তার দিকে নজর থাকবে ভক্ত-সমর্থকদের। দেশের মাটিতে আইসিসি’র এই টুর্নামেন্টে কেমন করবে বাংলাদেশ এই বিষয়ে কথা বলেছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। আইসিসি ক্রিকেট ডটকমের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে জ্যোতি বলেছেন, দেশের সমর্থকদের সামনে খেলাটা আলাদা উদ্দীপনা দেবে বাংলাদেশ দলকে।
নিগার, আপনার দেশে দ্বিতীয়বারের মতো বসছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। কেমন লাগছে?
এটি আমার ও আমার দলের সদস্যদের জন্য দারুণ একটা ব্যাপার। আমরা গর্বিত যে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে এবং নিজেদের মাঠে খেলতে পারব।
বিজ্ঞাপনদেশের মাটিতে খেলা আমাদের জন্য অ্যাডভান্টেজ নিয়ে আসবে আশা করছি।
দলে যারা তরুণ খেলোয়াড় আছেন তাদের কাছ থেকে কেমন পারফর্ম আশা করছেন?
দলের তরুণ খেলোয়াড়দের জন্য এই টুর্নামেন্টে খেলা চমৎকার অভিজ্ঞতা হতে চলেছে। আমি আশা করছি তারা খুব ভালোভাবেই দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ খেলাটা উপভোগ করবে। তরুণ খেলোয়াড় এবং অভিজ্ঞরা একসঙ্গে দারুণ কিছু উপহার দিতে পারবো।
নিজের দেশে বিশ্বকাপ, কেমন সমর্থন প্রত্যাশা করছেন?
আশা করি প্রচুর মানুষ আসবে মাঠে। দেশের জনগণের ভালোবাসা ও সমর্থনের কারণে আমরা আজ এখানে এসেছি। আমরা চাই দেশের মানুষ মাঠে উপস্থিত থেকে আমাদের প্রাণখুলে সমর্থন দিক। দেশের মানুষের প্রত্যাশা আমাদের কাছে অনেক বড়। আশা করছি সবকিছু প্রত্যাশা মতোই হবে।
২০১৪ সালে প্রথমবার বাংলাদেশে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হয়েছিল। সেই স্মৃতি কী মনে আছে?
হ্যাঁ, দেশের মাটিতে সেই বিশ্বকাপ ছিল দারুণ উপভোগ্য। সেই বছর আমরা বিশ্বকাপের কোনো ম্যাচে প্রথমবার জিততে পেরেছিলাম। তখন আমি খুব ছোট ছিলাম। আমি টিভিতে খেলা দেখতাম আর প্রতিটা মুহূর্তে নিজেকে বাংলাদেশ দলের একজন হিসেবে কল্পনা করতাম। এখন আমার স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। আমার জন্য দারুণ স্মৃতিপূর্ণ সময় সেটি।
নারীদের ক্রিকেট বাংলাদেশে জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে দেশের মাটিতে এই টুর্নামেন্ট কেমন ভুমিকা রাখবে?
আমি মনে করি দেশের মাটিতে এই বিশ্বকাপ আমাদের জন্য খুব খুব গুরুত্বপূর্ণ। মিডিয়া কভারেজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে এক্ষেত্রে। নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে মিডিয়া যদি ভালোভাবে হাইলাইট করে তাহলে যে মেয়েরা মনের মধ্যে ক্রিকেট লালন করছে তারা উৎসাহিত হবে। খেলার জন্য আগ্রহ জন্মাবে। ভবিষ্যতে ওরাই ক্রিকেটার হয়ে দেশের পতাকাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
বিশ্বকাপে আপনাদের প্রতিপক্ষ হিসাবে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কেমন খেলা আশা করছেন?
আমাদের বিপক্ষে দলগুলো বেশ শক্তিশালী। এরমধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ র্যাঙ্কিংয়ে যথাক্রমে ২, ৩ ও ৪ নম্বরে আছে। ম্যাচগুলো আমাদের জন্য কঠিনই হবে। কিন্তু আমরা নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়েই লড়বো। আমাদের বেশকিছু ভালো পারফর্মার আছে এই মুহূর্তে। এরমধ্যে দিলারা আক্তার দারুণ খেলছে গত কিছু ম্যাচে। মুর্শিদা খাতুন রানে ফিরেছে। নাহিদা আক্তার উইকেট নিচ্ছে। যদিও ভারতের সঙ্গে সিরিজটা খারাপ গেলো তবুও আমরা আশা করছি বিশ্বকাপে ভালো কিছু হবে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে বিশ্বকাপের ৩ ম্যাচে মুখোমুখি হয়ে সব ম্যাচ হেরেছেন। এবার কেমন প্রত্যাশা করছেন?
আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ভালো খেলতে পারছি না এটা সত্যি। তাদের অনেক ভালো টি-টোয়েন্টি ব্যাটার আছে, আমরাও উন্নতি করছি। দেশের মাটিতে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ভালো খেলতে পারবো আশা করছি।
৩ অক্টোবর স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে লড়তে নামবে বাংলাদেশ। দেশের মাটিতে নিজেদের সেরাটা দিতে প্রস্তুত টাইগ্রেসরা। জৌতি দেশের হয়ে ৯০টি টি-টোয়েন্টিতে করেছেন ১৮০২ রান। ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি দলে অভিষেক হয় এই ক্রিকেটারের।