দেশে গ্রীষ্মকালীন ফলের মধ্যে লিচু অন্যতম জনপ্রিয়। এটি খুব অল্প সময় বাজারে থাকে। তাই কম সময়ে অনেক পরিমাণে খাওয়া হয় এটি।
তরলের পরিমাণ বেশি হওয়ায় গ্রীষ্মে লিচু পানির ঘাটতি পূরণ করে। এ ছাড়া ‘এপিকেচিন’ ও ‘রুটিন’ নামে দুটি অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট রয়েছে এতে। এসব উপাদান গরমে রোগ প্রতিরোধে কাজ করে। বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ উপাদান থাকায় লিচু শরীরের জন্য অনেক উপকারী। ফাইবার ও পানি থাকায় পেট দীর্ঘক্ষণ ভরা থাকে, আর ফ্যাট না থাকায় ওজনও বাড়ে না। আবার ত্বকের বলিরেখা, বয়সের ছাপ দূর এবং ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে লিচুর বিভিন্ন উপাদান।
যাঁদের শারীরিক সমস্যা আছে অর্থাৎ লিচু খেলে হজমের সমস্যা হয় অথবা কোনো রোগে নিষেধ করা আছে, তাঁরা অবশ্যই চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে খাবেন।
● ডায়াবেটিসের রোগীরা দিনে পাঁচ-ছয়টির বেশি লিচু খাবেন না। অন্য কোনো মিষ্টি ফল, যেমন আম, আপেল, কমলা, কাঁঠাল, কলা ইত্যাদিও সেদিন একই সঙ্গে আর খাবেন না। এতে শর্করা বাড়তে পারে।
● মাত্রাতিরিক্ত লিচু খেলে রক্তচাপ অনেক কমে যেতে পারে। ফলে শ্বাসকষ্ট, মাথাঘোরা, বমি বমি ভাব, দুর্বলতা দেখা দিতে পারে।
● খালি পেটে লিচু খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। মূলত যেকোনো খাবার খাওয়ার আধা ঘণ্টা পর লিচু খান। কারণ, লিচুর হাইপোগ্লাইসিন নামের উপাদান শরীরে শর্করা তৈরিতে বাধা দেয়। খালি পেটে এ প্রক্রিয়া চলতে থাকলে শর্করা হঠাৎ অনেক কমে যেতে পারে।
তবে পাকা লিচুতে হাইপোগ্লাইসিন খুব বেশি থাকে না। কাঁচা লিচুতে অনেক বেশি থাকে উপাদানটি। অনেক সময় শিশুরা না বুঝে লিচু অনেক বেশি খেয়ে ফেলে। এতে বিশেষ করে যেসব শিশুর রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম, তাদের মৃত্যুঝুঁকি থাকে। তবু শিশুদের কোনো অবস্থাতেই খালি পেটে লিচু খাওয়ানো যাবে না।
● খালি পেটে লিচু কখনোই নয়।
●যদি সমস্যা না হয়, সুস্থ মানুষ ১০-১২টি খেতে পারবেন। ডায়াবেটিসের রোগী চার-পাঁচটি।