গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরই জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান এবং তাকে দ্বায়িত্ব পালন করতে আর কোনো বাধা নেই বলে আপিল বিভাগের এক আদেশের পরিষ্কার হয়ে গেছে।
অভ্যন্তরীণ কোন্দলের মধ্যে জিএম কাদেরকে দলীয় কাজে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে নিম্ন আদালত যে আদেশ দিয়েছিলো, সেই আদেশ স্থগিত করে কাদেরের দায়িত্ব পালন বৈধ করেছিলেন হাইকোর্ট।
কিন্তু হাইকোর্টের রায় না মেনে লিভ টু আপিল করা হয়। রোববার সেই আবেদনও খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আর এতে চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের কাজ চালিয়ে যেতে আর বাধা থাকলো না।
আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে হাইকোর্টের দেওয়া রুল নিষ্পত্তি করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সাবেক সেনাশাসক এইচএম এরশাদের গড়া দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান কে, তা নিয়ে অনেকদিন ধরেই গণ্ডগোল চলছে। বিশেষ করে এরশাদের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী রওশন এরশাদ ও ভাই জিএম কাদের দুই শিবিরে বিভক্ত হয়ে নিজেদের দলীয় প্রধান হিসেবে দাবি করে আসছেন।
সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই বিভক্তি আরো স্পষ্ট হয়ে ওঠে। দুই জনই নির্বাচন কমিশনে দলীয় প্রার্থীদের পৃথক তালিকা পাঠান। পরে অবশ্য জিএম কাদেরই টিকে যান। রওশনপন্থী কোনো নেতাকে মনোনয়ন দেননি জিএম কাদের।
এরি মধ্যে ২০২২২ সালের চার অক্টোবর দল থেকে বহিষ্কৃত সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা জাপার চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা করেন।
কয়েকদিন পরই ৩১ অক্টোবর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত জিএম কাদেরের দলের সব কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা জারি করে অস্থায়ী আদেশ দেন।
এরপর এই আদেশের বিরুদ্ধে কাদেরপন্থীরা যান হাইকোর্টে। একই বছরের ২৯ নভেম্বর নিম্ন আদালতের নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি দেওয়া হয় রুল।
পরে হাইকোর্টের আদেশ আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়। সেই আবেদনও এদিন খারিজ হয়ে গেলো।