প্রকাশ্যে ব্যালটে সিল মেরে ভোট দিলেন পটিয়ার কাশিয়াইশ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল কাসেম। ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তার নিষেধ সত্ত্বেও চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী আশীষ দে ব্যালটে কাশেমের পক্ষে সিল মারেন।
আজ বুধবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে পটিয়ার পূর্ব পিঙ্গলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। গত ২৯ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের সময় ব্যালট ছিনতাইয়ের অভিযোগে কেন্দ্রটির ভোট স্থগিত করেছিল নির্বাচন কমিশন। এ ঘটনায় পটিয়া থানায় একটি মামলা হয়।
সেই স্থগিত কেন্দ্রে আজ বুধবার সকাল থেকে পটিয়া উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পুনর্নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গ্রহণের শেষ দিকে বেলা সাড়ে তিনটার কিছু আগে ভোট দিতে কেন্দ্রে ঢোকেন চেয়ারম্যান আবুল কাশেম। তিনি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী আশীষের হাত ধরে ৬ নম্বর পুরুষ ভোটকক্ষে যান। এ সময় সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা চেয়ারম্যানকে ব্যালট দেন। ব্যালট নিয়ে চেয়ারম্যানের সামনে দুই ব্যালটে সিল মারেন আশীষ।
সিল মারা শেষ করে বাক্সে ঢোকানোর আগে কর্তব্যরত ম্যাজিস্ট্রেট জিমরান মোহাম্মদ সায়েক কক্ষটিতে ঢোকেন। তিনি চেয়ারম্যান এবং ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাকে প্রকাশ্যে সিল মারার জন্য ভর্ৎসনা করেন।
ম্যাজিস্ট্রেট তাঁদের বলেন, এভাবে প্রকাশ্যে ব্যালটে সিল মারা অপরাধ। এভাবে ভোট দেওয়ার নিয়ম নেই। তিনি বিষয়টা প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইলিয়াছকে জানিয়ে এ বিষয়ে করণীয় ঠিক করার নির্দেশ দেন।
জানতে চাইলে মোহাম্মদ ইলিয়াছ সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তা চেয়ারম্যানকে গোপন কক্ষে গিয়ে ভোটদানের অনুরোধ করেন। কিন্তু তিনি তা শোনেননি। বিষয়টা তদন্ত করে দেখছি।’