চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় চাঁদাবাজি ও অবৈধ বালু উত্তোলনের টাকায় ট্রাকের হেল্পার থেকে কোটিপতি হয়েছেন নুরুল হক নুনু।
জানা গেছে, লোহাগাড়া সদরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের রশিদার পাড়ায় তার বাড়ি। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় স্থানীয় এমপি আবু রেজা নদভীর ছত্রছায়ায় থেকে ১০ বছর ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বালুর গাড়ি থেকে টোলের নামে চাঁদাবাজি করেছেন। দরবেশ হাট ডিসি সড়কের পুটিবিলা স্কুল ও পানত্রিশা এলাকায় অফিস করে রীতিমতো ঢাক ঢোল পিটিয়ে করেছেন চাঁদাবাজি।
অভিযোগ উঠেছে, প্রতিটি বালুর ট্রাক থেকে ৪ হাজার ও ডাম্পার থেকে ১ হাজার টাকা করে চাঁদা নিয়েছেন তিনি। চাঁদাবাজির টাকার একটি অংশ তৎকালীন এমপি আবু রেজা নদভীর স্ত্রীর কাছে পৌঁছাত।
নুরুল হক নুনু নিজেকে শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দিতেন। অথচ ২০০৮ সালের আগে তিনি ট্রাকের হেল্পার ছিলেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে নিজেকে শ্রমিক নেতা পরিচয় দিতে দিতে এক সময় সাধারণ সম্পাদক দাবি করেন। আর এই পদবী ব্যবহার করে বিগত ১০ বছর ধরে অবৈধ বালু উত্তোলন ও চাঁদাবাজি করে তিনি এখন রীতিমতো শিল্পপতি। চলাফেরা করেন দামি গাড়ি নিয়ে। নিজের পৈতৃক ভিটেয় ৩ তলা বিল্ডিং ও পোস্ট অফিসের সামনে নতুন ৩ তলা ভবন নির্মাণ করেছেন।
এলাকবাসীরা বলেন, গত ১০-১২ বছরে এই নুরুল এলাকার ছোট ছোট বেকার তরুণদের নষ্ট করেছে। সহজ সরল ছেলেদের দিয়ে দখলবাজি ও চাঁদাবাজি করিয়েছে। পুরো পাড়াটিকে সে সন্ত্রাসীদের আড্ডাখানা বানিয়েছে। এখানে দেদারছে চলে মাদক ব্যবসা।