আমাদের এলাকায় একটু ঝড় বা বৃষ্টি হলে বিদ্যুৎ চলে যায়। গত দুই দিনে আধা ঘণ্টা থেকে ৪০ মিনিট বিদ্যুৎ থেকেছে
ফরিদপুরে দুই দিন ধরে বিদ্যুৎ সেবা বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন।
বিদ্যুৎ অফিস বলছে, জাতীয় গ্রিডে ব্রেকারে ত্রুটির কারণে এ পরিস্থিতি তৈরি দিয়েছে। শনিবার রাতে ব্রেকার মেরামত করা হয়েছিল। তবে সংযোগ দেওয়ার আগেই রোববার সকালে লাইনে বড় গাছ পড়ায় বিদ্যুৎ-সংযোগ বন্ধ রয়েছে।স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার গভীর রাত থেকে হঠাৎ বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে একটানা বিদ্যুৎ না থাকায় কারও বাসায় পানি নেই; নষ্ট হচ্ছে ফ্রিজের খাবারও । এ ছাড়া অটোরিকশা ও ইজিবাইকের ব্যাটারি চার্জ দিতে না পারায় ভোগান্তিতে পড়ছেন মানুষ।
মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কও অনেক জায়গায় বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে শিল্প ও উৎপাদনমুখী কলকারখানাও। এতে জেলার ব্যবসায়ী ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সবমিলিয়ে বিদ্যুতের অভাবে ফরিদপুর জেলায় অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।ফরিদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (সেবা) রুবাইদ হোসেন বলেন, “বিদ্যুতের জাতীয় গ্রেডের ব্রেকারে ত্রুটির কারণে ফরিদপুরে বিদ্যুৎ সংযোগ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। শনিবার রাতে ব্রেকার মেরামত করা হলেও রোববার সকালে ঝড়ে সড়কে গাছ পড়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে।
“আমাদের বিদ্যুৎ বিভাগের সবাই কাজ করছেন গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে দিতে। হয়তো রোববার সন্ধ্যা নাগাদ ধীরে ধীরে জেলার সব স্থানে বিদ্যুৎ চলে আসবে।”
বোয়ালমারী স্কুল শিক্ষক কাজী আমিনুল ইসলাম বলেন, “আমরা যারা পল্লী বিদ্যুতের সেবা গ্রহণ করি, তাদের গত দুই দিনে ৯০ ভাগ সময় বিদ্যুৎ ছাড়া থাকতে হয়েছে। এ অবস্থায় পরিবারের শিশু ও বৃদ্ধদের নিয়ে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়েছে। একটা পর্যায়ে মোবাইল নেটওয়ার্কও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় আমাদের।”
একই কথা জানলেন আলফাডাঙ্গা উপজেলার সংবাদকর্মী ইকবাল হোসেন।তিনি বলেন, “আমাদের এলাকায় একটু ঝড় বা বৃষ্টি হলেই বিদ্যুৎ চলে যায়। গত দুই দিনে আধা ঘণ্টা থেকে ৪০ মিনিট বিদ্যুৎ থেকেছে। বিদ্যুৎ ছাড়া মানুষের জীবনযাত্রা থেমে গেছে।”এদিকে ফরিদপুর চরভদ্রসন এবং সদরপুরের চরাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকায় ঝড়-বৃষ্টিতে কাঁচা ঘরবাড়ি ও গাছপালা উপড়ে নষ্ট হয়েছে নিম্নাঞ্চলের অনেক শাক-সবজির ক্ষেত।