1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Shahriar Rahman : Shahriar Rahman

খুলনা থেকে ৫৫৩ যাত্রী নিয়ে ‘জাহানাবাদ এক্সপ্রেসের’ ঢাকায় যাত্রা

  • আপডেট : মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

খুলনা-ঢাকা রুটের এ ট্রেনের ভাড়া নির্ধারণ হয়েছে শোভন চেয়ার ৪৪৫ টাকা, স্নিগ্ধা (এসি চেয়ার) ৮৫১ টাকা ও এসি সিট ১০১৮ টাকা।

খুলনা-ঢাকা রুটে পদ্মাসেতু হয়ে নতুন ট্রেন ‘জাহানাবাদ এক্সপ্রেসের’ যাত্রা শুরু হয়েছে। মোট ৭৬৮ আসন সংখ্যার ট্রেনটির প্রথম যাত্রায় সঙ্গী হয়েছেন ৫৫৩ জন যাত্রী।

সেই যাত্রীদের নিয়ে মঙ্গলবার সকাল ৬টায় খুলনা থেকে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় বলে জানিয়েছেন রেলওয়ের খুলনা স্টেশন মাস্টার (চলতি দায়িত্ব) আশিক আহমেদ।

ট্রেনটি নওয়াপাড়া, সিঙ্গিয়া জংশন, নড়াইল, লোহাগড়া, কাশিয়ানী জংশন, ভাঙ্গা জংশন হয়ে মাত্র তিন ঘণ্টা ৪৫ মিনিটেই ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে পৌঁছানোর কথাও জানান এই স্টেশন মাস্টার।

আনুষ্ঠানিক যাত্রাকালে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসাইন বলেন, খুলনা-ঢাকা রুটের এ ট্রেনের ভাড়া নির্ধারণ হয়েছে শোভন চেয়ার ৪৪৫ টাকা, স্নিগ্ধা (এসি চেয়ার) ৮৫১ টাকা ও এসি সিট ১০১৮ টাকা। আপাতত এই ভাড়াই চলবে। তবে পরবর্তীতে ভাড়া কমবেশি হতে পারে।

আফজাল হোসাইন আর ও বলেন, বিদেশ থেকে ট্রেনের নতুন ইঞ্জিন ও বগি আনা হচ্ছে। ৬ মাস পর এই রুটে নতুন আরও ট্রেন চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।

রেলওয়ের সূত্র মতে, ১১টি যাত্রীবাহী এবং একটি মালবাহী বগি ট্রেনটির মোট আসন সংখ্যা ৭৬৮টি। প্রথম ট্রেনে খুলনা থেকে ৫৫৩টি অর্থাৎ শতকরা ৭০ ভাগ টিকিট বিক্রি হয়েছে।

জাহানাবাদ ট্রেনটি ঢাকায় গিয়ে ‘রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস’ নামে সাপ্তাহিক ছুটি (সোমবার) ছাড়া প্রতিদিন ঢাকা থেকে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে ছেড়ে বেনাপোল পৌঁছবে দুপুর আড়াইটায়।

আর বিকাল তিনটা ২৫ মিনিটে বেনাপোল থেকে ছেড়ে যশোর জংশন, নড়াইল, কাশিয়ানী জংশন ও ভাঙ্গা জংশন হয়ে ঢাকায় পৌঁছবে সন্ধ্যা সাতটায়।

পরে রাত ৮টায় ঢাকা থেকে আবার জাহানাবাদ নামে খুলনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসবে ট্রেনটি। খুলনায় পৌঁছাবে ১১টা ৪৫ মিনিটে।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) খুলনা জেলা সাধারণ সম্পাদক কুদরত-ই-খুদা বলেন, “নতুন এই ট্রেন সার্ভিস চালুর ফলে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে খুলনার যোগাযোগ অনেক সহজ হবে। বর্তমানে খুলনা থেকে যেহেতু কোনো বিমান সার্ভিস নেই, তাই এটা খুব সহজে মানুষের মন জয় করে নেবে। এতে খুলনার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাবে।

“তবে কমলাপুরে ট্রেনের শেষ স্টেশন। এটা যদি এয়ারপোর্ট স্টেশন পর্যন্ত বাড়ানো যায়, তাহলে খুলনার মানুষের আরও বেশি উপকার হবে।”

এদিকে ট্রেনের যাত্রার সময় নির্ধারণের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার দাবিও জানিয়েছেন অনেকে।

ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বেনাপোল পথে নতুন ট্রেন মঙ্গলবার থেকে

লিয়াকত হোসেন ও শহীদ হোসেন নামের প্রথম দিনের দুই যাত্রী বলেন, “খুলনাবাসীর জন্য ঢাকা পর্যন্ত ট্রেনের যাতায়াত এত দিন সুখকর ছিল না। খুলনা থেকে এখন ঢাকায় যাওয়া যাবে মাত্র পৌনে ৪ ঘণ্টায়।

“তবে খুলনা থেকে সকাল ছয়টায় ট্রেনটি ছেড়ে যাচ্ছে, অনেকেই এত ভোরে যথাসময়ে স্টেশন পৌঁছাতে পারবেন না। আবার রাতে পৌনে ১২টায় খুলনা পৌঁছনোর পর অনেক দূরের যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছাতে কষ্ট হবে। এজন্য হয় ট্রেনের সময় পুনঃনির্ধারণ করা অথবা ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি করা উচিত।”

রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বর্তমানে ঢাকা থেকে খুলনার পথে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি চলাচল করে।

এর মধ্যে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া হয়ে খুলনায় যাচ্ছে। এই ট্রেন সার্ভিসে খুলনা-ঢাকায় চলাচলে সময় লাগে প্রায় ৭ ঘণ্টা।

অন্যদিকে চিত্রা এক্সপ্রেস বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু হয়েই চলাচল করছে। এই ট্রেনের সময় লাগে সাড়ে ৯ ঘণ্টার মতো। এর বাইরে বেনাপোল এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে রাজবাড়ী ও কুষ্টিয়া হয়ে যশোরের বেনাপোলে যায়। এতে সময় লাগছে সাড়ে ৭ ঘণ্টা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটেগরীর আরো খবর
© 2024  All rights reserved by Desheralo.com
Customized BY NewsTheme