ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজায় বাসের ধাক্কায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ছয়জনে দাঁড়িয়েছে।
জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের ওয়ার্ড মাস্টার নূর মোহাম্মদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রেশমা নামের একজন মারা গেছেন।”
এর আগে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কেরানীগঞ্জ উপজেলায় এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় ওই দুর্ঘটনায় নিহতহন রাজধানীর জুরাইনের বাসিন্দা আমেনা হক (৪৫), তার দুই মেয়ে ইমি (২৭) ও রিয়া (১২) এবং দুই বছর বয়সী নাতি আয়াত।এছাড়া মোটরসাইকেলের আরোহী এক শিশুও মারা গেছে, তবে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।দুর্ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় মাওয়াগামী লেনে দাঁড়িয়ে থাকা প্রাইভেটকারটিকে পেছন থেকে প্রচণ্ড গতিতে আসা বেপারী পরিবহনের একটি বাস ধাক্কা দেয়। এতে প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
“ওই প্রাইভেট কারটি ছাড়াও দুর্ঘটনা কবলিত হয় আরও একটি মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল। ঘটনাস্থলেই এক শিশুর মৃত্যু হয়।”
খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে হতাহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে নেওয়ার পথে চার জনের মৃত্যু হয়।
পরে নিহতদের মরদেহ রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া হয়।হাসারা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ওসি আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, গত ৬ দিনে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে আটটি দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন।