1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Shahriar Rahman : Shahriar Rahman
  3. [email protected] : Jannatul Naima : Jannatul Naima

ফের মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা

  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী, ২০২৫

বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় এই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

বছরের শুরুতেই তীব্র শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা। জেলার ওপর দিয়ে দ্বিতীয় দফায় বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। ফলে স্থবিরতা নেমে এসেছে জেলার জনজীবনে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় এই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক তহমিনা নাছরিন।

তিনি জানান, এটি মৌসুমের দ্বিতীয় ধাপের শৈত্যপ্রবাহ। এর আগে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। তখন ১৪ ডিসেম্বর জেলায় ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা ছিল মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

স্থানীয়রা বলছেন, বুধবার রাত থেকেই জেলার তীব্র শীতের প্রকোপ ছিল। রাত ৮টার আগেই শহরে মানুষের চলাফেরা কম দেখা গেছে। যারা ঘরের বাইরে এসেছিলেন তারা কনকনে ঠাণ্ডার ভোগান্তিতে পড়েছেন। অনেকেই তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরেছেন।

পরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঘন কুয়াশা পড়ছে। মেঘে ঢাকা আকাশে দেখা মেলেনি সূর্যের। সড়কে যানবাহন চলেছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। তীব্র শীতের সাথে ছিল হিমেল বাতাস। এ কারণে জেঁকে বসা শীতের অনুভূতি আরও বেড়েছে।

এমন শীতে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পোহাতে হচ্ছে শ্রমজীবী মানুষকে। তবে জীবিকার তাগিদে তারা পথে বের হলেও তীব্র শীতে সাধারণ মানুষ বের না হওয়ায় তাদের আয় কমে যাচ্ছে। রিকশা-ভ্যান চালকরা পাননি পর্যাপ্ত যাত্রী।

সদর উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের ভ্যান চালক ইস্রাফিল হোসেন বলেন, “আজ (বৃহস্পতিবার) হঠাৎ করে বেশি শীত। বাতাসও আছে। বাইরে মানুষ কম। যাত্রী হচ্ছে না।”

এদিকে শীতজনিত রোগীর চাপ অব্যাহত আছে হাসপাতালগুলোতে। ধারণক্ষমতার তিনগুণ রোগী ভর্তি আছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। বিশেষ করে হাসপাতালের ডায়রিয়া ও শিশু ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বেশি।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আসাদুর রহমান মালিক খোকন বলেন, “এই সময়ে শিশুদের প্রতি বেশি যত্নশীল হতে হবে। কোনোক্রমেই যাতে তাদের ঠান্ডা না লাগে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

তিনি বলেন, “চার-পাঁচ ঘণ্টা আগে রান্না করা খাবার না খাইয়ে শিশুদের গরম-টাটকা খাবার খাওয়াতে হবে। বাইরের খাবার কোনোক্রমেই খাওয়ানো যাবে না।”

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক তহমিনা নাছরিন বলেন, “চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা আরও তিন চারদিন থাকতে পারে। দেরিতে দেখা দেবে সূর্য। ”

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটেগরীর আরো খবর
© 2024  All rights reserved by Desheralo.com
Customized BY NewsTheme