রাজধানীর খিলক্ষেতে পাঁচ বছরের একটি শিশুকে ধর্ষণের দায়ে গণপিটুনি খাওয়া অভিযুক্ত কিশোর রবিউল হাসান ওরফে জান মিয়া নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। বুধবার (১৯ মার্চ) হাসপাতালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ দাবি করেন তিনি।
কিশোরটির অভিযোগ, শুধু সন্দেহের বশে তাকে মারধর করা হয়েছে। কোন অন্যায় করলে বাসায় না থেকে পালিয়ে যেতো বলেও জানায় সে।
এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক জানান, অভিযুক্ত ওই কিশোরের শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল আছে। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ জাতীয় ইনজুরি নেই। তবে, এখনই তার অবস্থা শঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না। ব্যাপক মারধরের ফলে ১৫/১৬ বছরের ওই কিশোরের পুরো শরীর ফুলে গেছে বলেও জানান চিকিৎসক।
এদিকে, খিলক্ষেতে ধর্ষণের শিকার শিশুটি বর্তমানে ভালো আছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্টের চিকিৎসক ডা. সাবিনা ইয়াসমিন। তিনি বলেন, শিশুটির শারীরিক পরীক্ষা-নীরিক্ষা চলছে; রিপোর্ট এলেই বিস্তারিত জানানো যাবে।
উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে পাঁচ বছরের ওই শিশুটি নানি বাড়ি যায়। অভিযোগ, সেসময়ই সিঁড়ি থেকেই তাকে ধরে নিয়ে ধর্ষণ করে জান মিয়া নামে এক কিশোর। ভুক্তভোগী শিশু নানির কাছে গেলেও নির্যাতনের বিষয়ে কিছু বলতে পারছিলো না।
শিশুটির স্বজনরা প্রাথমিকভাবে আশপাশের কয়েকটি হাসপাতালে ভর্তির চেষ্টা করে। সবাই শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেলে নেয়ার কথা বললেও এক পর্যায়ে লোকলজ্জার ভয়ে বাসায় ফিরে আসে পরিবার।ত
পরে ধর্ষণের ঘটনা জানতে পেরে এলাকাবাসী ট্রিপল নাইনে ফোন দিয়ে পুলিশ ডেকে আনে। ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ সদস্যরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
রাতে সেই কিশোরকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী পুলিশের গাড়ি ভেঙে তাকে বের করে গণপিটুনি দেয়। উত্তেজিত জনতার গণপিটুনিতে গুরুতর আহত হয় সে।
বিক্ষুব্ধ জনতাকে সামলাতে গিয়ে এসময় আহত হন কয়েকজন পুলিশ সদস্যও। পরে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।