ঢাকা, ১১ মে:
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার চলমান উত্তেজনা এবং ৫ আগস্টের পরবর্তী রাজনৈতিক অস্থিরতা ঘিরে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছে চীন।
ঢাকায় বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এই বার্তা দেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন,
“বাংলাদেশের উচিত নিজস্ব স্বার্থে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরের কোনো দেশের হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকা।”
তিনি আরও জানান, চীন সব ধরনের সন্ত্রাসবাদ ও বিদেশি হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে এবং পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
“এই সংকটময় পরিস্থিতিতে উভয় পক্ষেরই শান্তিপূর্ণ উপায়ে উত্তেজনা প্রশমনের উদ্যোগ নেওয়া উচিত,” — বলেন ইয়াও ওয়েন।
জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে রাষ্ট্রদূত নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানান। তিনি জোর দিয়ে বলেন,
“চীন সবসময় সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে থাকবে।”
রাখাইনে মানবিক করিডর গঠন নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি স্পষ্ট করে জানান,
“এই উদ্যোগ জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর। এতে বাংলাদেশ বা চীন কেউই সরাসরি জড়িত নয়।”
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন,
“চীন সব সময় প্রতিটি দেশের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা সম্মান করে।”
তিনি ১৯৭১ সালের পর থেকে বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ককে সহযোগিতামূলক ভিত্তির ওপর গড়ে ওঠা সম্পর্ক হিসেবে উল্লেখ করে বলেন,
“আগামী দিনগুলোতে এই সম্পর্ক আরও গভীর হবে এবং দুই দেশ পারস্পরিক স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করে যাবে।”
অনুষ্ঠানে বিশেষভাবে তিনি ঘোষণা দেন,
“বাংলাদেশ যদি কখনো সার্বভৌমত্ব নিয়ে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়, চীন সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে।”