নতুন ডিজাইনের নোট আসছে বাজারে: নেই শেখ মুজিবের ছবি, থাকছে ঐতিহ্য ও প্রকৃতির প্রতিচ্ছবি
ঈদুল আজহার আগে-পরে বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারে আনছে একাধিক নতুন নোট, যেগুলোর ডিজাইনে এসেছে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন। কোনোটিতে নেই শেখ মুজিবের ছবি, আবার কোনোটিতে নেই কোনো মানুষের পূর্ণ অবয়ব। পরিবর্তে তুলে ধরা হয়েছে বাংলাদেশের ঐতিহ্য, প্রকৃতি, সংস্কৃতি ও ইতিহাস।
মূল্য | ছবি/চিত্র | প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ |
---|---|---|
৫ টাকা | আবু সাঈদ ও মুগ্ধের অবয়ব (জুলাই বিপ্লব অনুপ্রেরণা) | ঈদের পর |
১০ টাকা | তারুণ্যের প্রতীক + বায়তুল মোকাররম | ঈদের পর |
২০ টাকা | কান্তজির মন্দির + বৌদ্ধ মন্দির | ২৭ মে |
৫০ টাকা | জয়নুল আবেদিনের দুর্ভিক্ষ চিত্র + আতিয়া মসজিদ | ২৯/৩০ মে |
১০০ টাকা | চিত্রা হরিণ ও রয়েল বেঙ্গল টাইগার (সুন্দরবন) | পরে |
২০০ টাকা | ধর্মীয় বৈচিত্র্যের প্রতীক: মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা | পরে |
৫০০ টাকা | ঐতিহাসিক আহসান মঞ্জিল | পরে |
১০০০ টাকা | বঙ্গভবন + জাতীয় স্মৃতিসৌধ | ২ জুন |
কোনো নোটেই শেখ মুজিবের ছবি নেই, যা রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।
মানব অবয়ব এড়িয়ে প্রকৃতি, স্থাপত্য, ঐতিহ্য ও আন্দোলনের প্রতীক ব্যবহার করা হয়েছে।
নিরাপত্তা উপকরণে বিদেশি প্রযুক্তির অংশগ্রহণ থাকায় প্রক্রিয়াটি সময়সাপেক্ষ ছিল।
ঈদুল ফিতরের আগেই ছাড়ার পরিকল্পনা থাকলেও সময়স্বল্পতায় তা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি।
আরিফ হোসেন খান, মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক জানান:
“নতুন নোটের ডিজাইন চূড়ান্ত হয়েছে। ছাপার কাজ শুরু হয়েছে। এবারের নোটগুলোতে আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, প্রকৃতি ও স্বাধীনতা সংগ্রামের চেতনা প্রতিফলিত হয়েছে।”
১৯৭২ সালে বাংলাদেশের প্রথম মানচিত্রখচিত ১ টাকার নোট চালু হয়।
ধীরে ধীরে ৫, ১০, ২০, ৫০, ১০০, ২০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট প্রচলিত হয়।
একাধিকবার নোটের নকশা ও নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করা হয়েছে।