1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Shahriar Rahman : Shahriar Rahman
শিরোনাম :
স্মারকলিপি দিতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অভিমুখে পদযাত্রা সাবেক এমপি বাহাউদ্দিন ও তার স্ত্রীর ফ্ল্যাট ক্রোক পুলিশের এপিসি থেকে ফেলে আসহাবুলকে হত্যায় ট্রাইব্যুনালে মামলা গ্রামের বাড়ি পৌঁছা হলো না স্বামী-স্ত্রীর, ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই নিহত গ্রামের বাড়ি পৌঁছা হলো না স্বামী-স্ত্রীর, ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই নিহত জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রেপ্তার ৫ ডাকাতের একজন যুবদল, আরেকজন ছাত্রদলকর্মী আদিবাসীদের সামাজিক উৎসবগুলোতে ছুটির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চাইলেন জি কে শামীম ও তার মা মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শেখ হাসিনার বিচার হবে: প্রধান উপদেষ্টা

স্মারকলিপি দিতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অভিমুখে পদযাত্রা

  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার অপসারণ, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠনসহ মোট ৯ দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে স্মারকলিপি দিতে যাচ্ছেন ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ নামের প্ল্যাটফর্মের নেতাকর্মীরা।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিকেল সোয়া তিনটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগ এলাকা অতিক্রম করেন তারা। এ সময় তাদের ধর্ষণবিরোধী এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।

সংশ্লিষ্টরা বলেন, সারা দেশে অব্যাহত খুন-ধর্ষণ-নিপীড়নের ঘটনা ঘটছে। যা ঠেকাতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্যর্থ হয়েছেন। তাকে দ্রুত অপসারণ করতে হবে। এসব নিপীড়নের বিচার করতে দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যাল গঠন করতে হবে। একই সঙ্গে সাম্প্রতিক ধর্ষণের ঘটনাসহ সব ধর্ষণকাণ্ডের বিচার, অংশীজনদের অংশগ্রহণে ধর্ষণ ও নিপীড়ন প্রতিরোধের আইনসমূহের যৌক্তিক সংস্কার, কর্মক্ষেত্র ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিপীড়নবিরোধী সেল আইন করে কার্যকর করার দাবিও জানান তারা।

 

 

 

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে যেসব বিষয়

স্মারকলিপি দিতে যাওয়া ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ প্ল্যাটফর্মের নেতারা জানান, এতে মোট ৯টি প্রধান দাবি উপস্থাপন করা হয়েছে। দাবিগুলো হচ্ছে —

১. জননিরাপত্তা দানে ব্যর্থ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে দায়স্বীকারপূর্বক পদত্যাগ করতে হবে।

২. সারা দেশে অব্যাহত ধর্ষণ, নারী নিপীড়ন, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

৩. অবিলম্বে পাহাড়, সমতলসহ সারা দেশে ঘটে যাওয়া ধর্ষণ ও নিপীড়নের সব ঘটনার বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

৪. সংশ্লিষ্ট অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে ধর্ষণ ও নারী-নিপীড়ন প্রতিরোধের আইনসমূহে প্রয়োজনীয় যৌক্তিক সংযোজন, বিয়োজন ও সংশোধন করতে হবে। প্রয়োজনে ধর্ষণের ঘটনার বিচারের জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে।

৪.১. নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এর ধর্ষণের সংজ্ঞা পরিবর্তন করে, ধর্ষণের শিকার ব্যক্তির লিঙ্গ, যৌনতা, ধর্ম, বর্ণ, জাতি, জাতীয়তা, প্রতিবন্ধিতা ও বয়স নির্বিশেষে সবার ন্যায়বিচারের অভিগম্যতা নিশ্চিত করতে হবে।

৪.২. অপরাধী বা ভুক্তভোগীর জেন্ডার নির্বিশেষে, সব ধরনের পেনিট্রেশনকে ধর্ষণের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

৪.৩. যোনী, মলদ্বার বা যৌনাঙ্গের মুখে, ভেতরে বা বাইরে, মুখের ভেতরে পুরুষাঙ্গ কিংবা অন্য কোনো বস্তু অথবা অঙ্গ বা উভয়ের প্রতিস্থাপনকে পেনিট্রেশন হিসেবে গণ্য করতে হবে।

৪.৪. ধর্ষণের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ‘সাজা প্রদান নির্দেশিকা’ প্রণয়ন করা যা অভিযুক্ত এবং ভুক্তভোগীর শারীরিক-মানসিক অবস্থা এবং সম্ভাব্য পরিস্থিতি বিবেচনা করে শাস্তির আনুপাতিকতা নিশ্চিত করবে।

৪.৫. ধর্ষকের সঙ্গে ভুক্তভোগীর বিয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে অবৈধ ঘোষণা করতে হবে।

৪.৬. বৈবাহিক বা এই ধরনের সম্পর্কে ধর্ষণের ক্ষেত্রে আদালতের অনুমতিক্রমে ভুক্তভোগীর অতীত যৌনজীবন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার ক্ষেত্রে কেবল নারী বিচারকরা থাকতে পারবেন এবং তা ক্লোজ ডোরের মধ্যে জিজ্ঞাসা করা হবে; এর নিশ্চয়তা দিতে হবে।

৫. যৌন হয়রানি প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

৫.১. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে হাইকোর্টের নীতিমালার গণতান্ত্রিক সংস্কার সাধন করে, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রের জন্য যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল গঠন আইন করে বাধ্যতামূলক করতে হবে।

৫.২. বিচার ও আইন ব্যবস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার জেন্ডার সংবেদনশীলতার প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে।

৫.৩. প্রতিষ্ঠানের অংশীজনদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে সেলের গঠনপ্রক্রিয়া আইনে বিবৃত করতে হবে।

৫.৪. সেলের কার্যপ্রক্রিয়া স্বচ্ছ এবং অভিযুক্ত বা অভিযোগকারীর যেকোনো ধরনের ক্ষমতা প্রয়োগের আওতামুক্ত রাখতে হবে। এটি নিশ্চিত করতে সেলকে প্রয়োজনীয় ক্ষমতা প্রদান এবং একই সঙ্গে সেলের জবাবদিহিতা নিশ্চিতের বন্দোবস্ত করতে হবে।

৫.৫. প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ্যক্রমে জেন্ডার সংবেদনশীলতার পাঠ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

৫.৬. সম্মতি ও পছন্দের পরিষ্কার ধারণা দেয়, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধের তথ্য ও জ্ঞান প্রদান করে এমন পাঠ, পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

৬. ধর্ষণের কেস নেওয়া নিয়ে যে থানাগত জটিলতা তা দূর করতে হবে। বিশেষ আইন অথবা বিশেষ সেলের অধিকারবলে ধর্ষণের অভিযোগ যেকোনো থানা গ্রহণ করবে এবং কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

৭. ভুক্তভোগী ও সাক্ষীকে সব প্রকার সুরক্ষা প্রদানের জন্য ২০১১ সালে পর্যালোচিত সাক্ষী সুরক্ষা আইন পুনরায় পর্যালোচনা ও প্রয়োগ করা।

৮. চবির নারী শিক্ষার্থীদের হেনস্তা, স্লাটশেমিং এবং বরখাস্তের ঘটনা পূর্ণ তদন্ত করে অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ স্লাটশেমিং করলে তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।

৯. বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সমন্বয়ে স্বাধীন যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল কার্যকর করতে হবে। সেলে আবশ্যিক নারী সদস্য থাকবে। অপরাধ প্রমাণ সাপেক্ষে দোষীকে শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা এ সেলকে দিতে হবে।

পদযাত্রায় বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য সীমা আক্তার, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ইডেন মহিলা কলেজ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সুমাইয়া শাইনা, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু এবং বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফসহ বিভিন্ন প্রতিক্রিয়াশীল সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত আছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটেগরীর আরো খবর
© 2024  All rights reserved by Desheralo.com
Customized BY NewsTheme