রাশিয়ার একটি স্কুলে পড়ছে ১৪ বছরের ডেভিড। এ মাসে সে নতুন একটি কৌশল শিখেছে, কীভাবে কালাশনিকভ বন্দুক দিয়ে নির্ভুলভাবে গুলি চালানো যায়। বাকি ছাত্রদের মতো সামরিক প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে নানা রকম অস্ত্র পরখ করার সুযোগ পেয়েছে ডেভিড।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, সোভিয়েত আমলে রাশিয়ার স্কুলগুলোতে ছাত্রদের সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত ছিল। সোভিয়েত আমলের শেষের দিকে এই কার্যক্রম বাদ দেওয়া হয়। তবে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পর আবারও স্কুল ছাত্রদের সামরিক প্রশিক্ষণ প্রদানের কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।
চলতি মাসে রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ভ্লাদিকাভকাজে ইউনিফর্ম পরিহিত কিশোর ছাত্রদের প্রাথমিক সামরিক প্রশিক্ষণ নিতে দেখা গেছে।
ডেভিড জানায়, পিস্তল থেকে গুলি করা সহজ। আর অ্যাসল্ট রাইফেল দিয়ে লক্ষ্য করা অনেক কঠিন। সে মনে করে, আগ্নেয়াস্ত্রের অনুশীলন ভবিষ্যতে তার জীবনকে সহজ করে তুলবে। রাশিয়ায় যুবকদের জন্য সামরিক পরিষেবা বাধ্যতামূলক।
রাশিয়ার উত্তর ওসেটিয়া অঞ্চলের নেতা অবসরপ্রাপ্ত ভাইস-অ্যাডমিরাল সের্গেই মেন্যাইলো। প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা নিয়ে তরুণদের মধ্যে বিভক্তি থাকায় তিনি তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, একদিন যদি তাদের যুদ্ধ করতে হয় তাহলে এই সামরিক প্রশিক্ষণ কাজে লাগবে। কোনো দলের মধ্যে তারা সামরিক দায়িত্ব পালন করার ক্ষেত্রে সুবিধা পাবে।
২০২২ সালের শেষের দিকে একটি ডিক্রি জারির মাধ্যমে ‘জীবনের নিরাপত্তার মৌলিক বিষয়’ নামক একটি বিষয় স্কুল পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করে রাশিয়ার শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর ফলে মৌলিক সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা হয়। সমালোচকদের মতে, এই পদক্ষেপ হলো যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রুশ সমাজকে ক্রমাগত সামরিকীকরণ করার অংশ।
সশস্ত্র বাহিনীকে সমর্থন করা একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার স্থানীয় প্রধান বরিস কান্তেমিরভ বলেছেন, প্রশিক্ষণ যেকোনো সৈনিককে প্রয়োজনীয় দক্ষতা প্রদান করে। প্রত্যেককে অবশ্যই জীবন বাঁচাতে, অস্ত্র পরিচালনা করতে এবং শারীরিকভাবে ফিট থাকতে হবে।