আগামী ২৩ জুন দেশের প্রাচীন ও বৃহত্তম রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষ্যে এবার ‘প্লাটিনাম জয়ন্তী’ উদযাপন করবে দলটি। কেন্দ্রীয়ভাবে ১০ দফা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
শনিবার আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
কর্মসূচিগুলো হলো- (১) ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ; বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং নাগরিক সমাজ ও পেশাজীবী নেতাকে আমন্ত্রণ। (২) কেন্দ্রসহ সব সাংগঠনিক শাখায় বছরব্যাপী উপযোগী কর্মসূচি গ্রহণ; তৃণমূলের কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় নেতাদের অংশগ্রহণ। (৩) রাজধানী ঢাকায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও আনন্দর্যালির আয়োজন; একই সঙ্গে সব দলীয় কার্যালয় ও স্থাপনায় আলোকসজ্জা, আনন্দ র্যালি, সভা-সমাবেশ, সেমিনার ও আলোচনা সভা। (৪) সারা দেশে এতিমখানা ও হাসপাতালে এবং কর্মজীবী, গরিব, অসহায় ও দুস্থ মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ। (৫) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। পুরস্কার হিসাবে ‘গ্রাফিক নোভেল : মুজিব’ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থ প্রদান।
(৬) ক্রোড়পত্র, বিশেষ স্মরণিকা ও গ্রন্থ প্রকাশ এবং পোস্টার, ব্যানার ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী। বিশেষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপযোগী পোস্টার, ব্যানার ও ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট প্রচার। (৭) বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন। (৮) ডকুমেন্টারি ও চিত্র প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন উপযোগী কর্মসূচি গ্রহণ। (৯) দলের সর্বস্তরের প্রবীণ নেতাদের সম্মাননা প্রদান। (১০) দলের প্লাটিনাম জয়ন্তী উপলক্ষ্যে ‘সবুজ ধরিত্রী’ কর্মসূচি গ্রহণ। এ লক্ষ্যে দেশের সর্বত্র জেলা/মহানগর, থানা/উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে সাধারণ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ। সারা দেশে সড়ক, মহাসড়কের দুই পাশে ও সড়ক বিভাজনে এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রাঙ্গণ, বাড়ির আঙ্গিনা, নদী, খাল-বিল ও জলাশয়ের দুই পাড়ে বৃক্ষরোপণ। একইভাবে মহানগরসহ সব শহরে ছাদে ও বেলকনিতে উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে বৃক্ষরোপণে নাগরিক সমাজকে পরিবেশ সম্পর্কে উদ্বুদ্ধকরণ এবং বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দলের জেলা/মহানগর, উপজেলা/থানা, পৌর, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডসহ সব শাখাগুলোতে কর্মসূচি গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের জন্য সাংগঠনিক নির্দেশনা দিয়েছেন। একই সঙ্গে দেশে ও প্রবাসে আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে কর্মসূচি বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গত সাড়ে সাত দশক ধরে আওয়ামী লীগের পথচলা ছিল গৌরবোজ্জ্বল। সংগঠনটি বাঙালি জাতির অধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সব প্রতিবন্ধকতা জয় করে সফলতার মুকুটে সংযুক্ত করেছে একের পর এক পালক। যে কোনো রাজনৈতিক দলের জন্য এতো দীর্ঘ সময় সফলতার সঙ্গে পথচলা মর্যাদা ও গৌরবের।