1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Shahriar Rahman : Shahriar Rahman
  3. [email protected] : Jannatul Naima : Jannatul Naima

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করাই প্রধান চ্যালেঞ্জ: প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট : শনিবার, ৮ জুন, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে বলেন, ‘আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, আমরা কীভাবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করব। আমাদের এটি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে তাঁর দল ক্ষমতায় আসার সময় মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৩ শতাংশ আর রিজার্ভ ছিল ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কম। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশের অর্থনীতিকে একটি বড় অবস্থানে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন। তখন বাজেটের আকার ছিল মাত্র ৬৮ হাজার কোটি টাকা আর এবার আওয়ামী লীগ সরকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট দিয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের বাজেট বাস্তবায়ন করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টানিষেধাজ্ঞা, গাজায় গণহত্যা এবং কোভিড-১৯ মহামারির কারণে বিশ্ব অর্থনীতি এখন অর্থনৈতিক মন্দা ও উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির সম্মুখীন হয়েছে। এর হাত থেকে বাংলাদেশকে বাঁচানো যায়নি। এহেন বৈশ্বিক পরিস্থিতি সত্ত্বেও বাংলাদেশ এই বাজেট দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তা সত্ত্বেও উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উত্তরণ সহজ করতে বাংলাদেশ তার প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। তিনি বলেন, এ বাজেট খুব বড় বাজেট নয়। কিন্তু দেশের উন্নয়নটা যেন অব্যাহত থাকে, সে দিকে লক্ষ্য রেখেই বাজেটটা প্রণয়ন করা হয়েছে। বাজেটে মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, চিকিৎসাক্ষেত্র, শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে, যাতে এসব ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতির চাপ না আসে।

শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার সীমিত আয়ের মানুষদের জন্য পারিবারিক কার্ড দিয়েছে এবং হতদরিদ্র মানুষদের জন্য খাদ্যসহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। তাঁর সরকারের সামাজিক নিরাপত্তাবলয় কর্মসূচির আওতায় দরিদ্র ও অসচ্ছল মানুষদের জন্য বিভিন্ন ভাতা প্রদানের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনই তাঁদের সবচেয়ে বড় সম্পদ, যার জন্য আওয়ামী লীগ বারবার দেশ-বিদেশের সব ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত মোকাবিলা করে ক্ষমতায় এসেছে। তিনি বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। বিরোধী দল জানত নির্বাচন হবে না, তাই তারা বর্জন করেছিল। আমরা বুঝতে পেরেছিলাম, নির্বাচনের পরও ষড়যন্ত্র ছিল।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন শুরুর পর তাঁরা ঝুঁকি নিয়েছিলেন। এবার আওয়ামী লীগ এককভাবে ২২৩টি আসন লাভ করে এবং ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে এককভাবে ২৩৩টি আসন পেয়েছিল আর বিএনপি জোট পেয়েছিল ৩০টি আসন। তিনি বলেন, কেউ নয়, এমনকি বিরোধী দলও এর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন তুলতে পারেনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি পরাজয়ের ভয়ে নির্বাচন বর্জন করে। কারণ, তাদের দলকে পরিচালনা করার মতো কোনো নেতা নেই, যেহেতু তাদের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং, দুর্নীতি, ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলা এবং ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার অভিযোগ রয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটেগরীর আরো খবর
© 2024  All rights reserved by Desheralo.com
Customized BY NewsTheme