ন্যাস বা নন-অ্যালকোহলিক স্টিয়াটো হেপাটাইটিস হচ্ছে লিভারের প্রদাহজনিত একটি জটিল রোগ। আমরা আজকাল অনেকে ফ্যাটি লিভার বা লিভারে চর্বি জমা সম্পর্কে জানি। এই ফ্যাটি লিভারের সঙ্গে ন্যাসের সম্পর্ক রয়েছে। ফ্যাটি লিভারের একপর্যায়ে লিভারে প্রদাহ হয়, তখন তাকে ন্যাস বলা হয়। আজ ৯ জুন আন্তর্জাতিক ন্যাস দিবস। এ নিয়ে দরকার আমাদের সচেতনতা।
ন্যাস ও ফ্যাটি লিভারের সঙ্গে স্থূলতা ও ডায়াবেটিসের সম্পর্ক নিবিড়। অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস ও কায়িক পরিশ্রমের অভাব এ সমস্যাকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।
সমস্যা হচ্ছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ন্যাসের কোনো লক্ষণ পরিলক্ষিত হয় না। অন্য কোনো কারণে পেটের আলট্রাসনোগ্রাম অথবা লিভারের কিছু পরীক্ষা করাতে গিয়ে ন্যাস ধরা পড়ে। যদিও কখনো কখনো ওপর পেটে ডান দিকে হালকা ব্যথা বা চাপ অনুভূত হতে পারে।
পেটের আলট্রাসনোগ্রামের পাশাপাশি অনেক সময় ন্যাস নিশ্চিত করতে লিভার বায়োপসি করার প্রয়োজন হতে পারে। তবে লিভারের কিছু বায়োকেমিক্যাল টেস্ট করেও ন্যাস সম্পর্কে অনেকটাই ধারণা করা যায়।
ন্যাস প্রতিরোধ অথবা সঠিক চিকিৎসা না করা হলে এটা লিভার সিরোসিস, এমনকি লিভার ক্যানসারের মতো প্রাণঘাতী রোগে রূপান্তরিত হতে পারে।
ন্যাসের চিকিৎসা বেশ জটিল। এ জন্য ন্যাস প্রতিরোধ করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
● সুষম খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত কায়িক শ্রম ও নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের মাধ্যমে ন্যাস প্রতিরোধ অনেকাংশেই সম্ভব।
● ন্যাসের চিকিৎসায় কিছু ওষুধেরও ভালো ভূমিকা আছে।
●ডায়াবেটিস ও রক্তে চর্বির পরিমাণ বেশি থাকলে সেগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।