বন্যার পানি নামতে শুরু করলেও বন্যাদুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে নানা স্বাস্থ্য সমস্যা। বিশেষ করে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের এ সময় বেশ কিছু সমস্যা হতে পারে। যা তাঁদের ও গর্ভস্থ সন্তানের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে। বন্যার কারণে পানিবাহিত রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। যেমন ডায়রিয়া, কলেরা, টাইফয়েড প্রভৃতি। তাই বন্যার সময় আলাদা করে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত।
স্বাস্থ্যসেবা: নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও গাইনোকোলজিস্টের পরামর্শ যেন বাদ না যায়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। এ জন্য অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্পের সেবা নিশ্চিত করতে হবে। জরুরি পরিস্থিতির জন্য একটি ফার্স্ট এইড কিট সঙ্গে রাখুন।
পানি ও স্যানিটেশন: নিরাপদ পানি পান ও স্যানিটেশন বজায় রাখার চেষ্টা করতে হবে। সঠিকভাবে হাত ধোয়া গুরুত্বপূর্ণ। বন্যার সময় খাবারের সরবরাহ সীমিত হতে পারে, তাই প্রয়োজনীয় পুষ্টি নিশ্চিতের জন্য ভিটামিন ও মিনারেলসের পরিপূরক গ্রহণ করা যেতে পারে। পরিষ্কার ও শুকনা কাপড় পরতে হবে।
মেডিকেল কেয়ার: জ্বর, বমি, ডায়রিয়া বা অন্য কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে। পেটে ব্যথা, অস্বস্তি অনুভব বা পানি ভেঙে গেছে বলে মনে হলে হাসপাতালে যেতে হবে।
বিশ্রাম: পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ঘুম নিশ্চিত করুন। বন্যার কারণে স্ট্রেস হতে পারে, তাই মানসিক শান্তির জন্য ধ্যান বা সহজ পদ্ধতির প্রশ্বাস নিয়মিত করা যেতে পারে।
কমিউনিটি সহায়তা: আশপাশের পরিবার ও সমাজের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে অযথা বিলম্ব না করা উচিত।
প্রসবসেবা: দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে প্রসব চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। সম্ভাব্য আশ্রয়স্থল বা হাসপাতালে পৌঁছানোর চেষ্টা করুন। হাসপাতালে পৌঁছানো কঠিন হলে নিরাপদ ও পরিষ্কার একটি স্থানে অবস্থান নিশ্চিত করুন। গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, যেমন পরিচয়পত্র ও মেডিকেল রেকর্ড সঙ্গে রাখুন। স্থানীয় চিকিৎসক বা নার্সদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
ডা. শারমিন আব্বাসি : স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিশেষজ্ঞ