1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Shahriar Rahman : Shahriar Rahman
  3. [email protected] : Jannatul Naima : Jannatul Naima

কেটেছে ২২ বছর, বুয়েট ছাত্রী সনি হত্যার প্রধান দুই আসামি এখনো পলাতক

  • আপডেট : শনিবার, ৮ জুন, ২০২৪

২২ বছর আগে রাজধানীর বুয়েট ক্যাম্পাসে  ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষের মাঝখানে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছিলেন বুয়েট ছাত্রী সাবেকুন নাহার (সনি)। এত বছর পরও আলোচিত ওই হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামি পলাতক।

মেয়ের হত্যাকারীদের বিচার না হওয়ার আক্ষেপ নিয়েই গত বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি মারা যান তাঁর বাবা হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া। তিনি ব্লাড ক্যানসারে ভুগছিলেন। সনির মা দিলারা বেগম এখন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।

আজ ৮ জুন সনি হত্যাকাণ্ডের ২২ বছর পূর্ণ হচ্ছে। ২০০২ সালের ৮ জুন বুয়েট ছাত্রদলের তৎকালীন সভাপতি মোকাম্মেল হায়াত খান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলের তৎকালীন ছাত্রদল নেতা মুশফিক উদ্দিন টগর গ্রুপের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে নিহত হন সনি। দরপত্র নিয়ে ওই সংঘর্ষ হয়।
বুয়েটের কেমিপ্রকৌশল বিভাগের ১৯৯৯ ব্যাচের ছাত্রী সাবেকুন নাহার সনি সেদিন ক্লাস শেষে বুয়েটের হলে ফিরছিলেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে তাঁর নিহত হওয়ার পর  সারা দেশে আন্দোলন হয়।

ঢাকার বিচারিক আদালতে সনি হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয় ২০০৩ সালের ২৯ জুন। রায়ে ছাত্রদলের নেতা মুশফিক উদ্দিন টগর, মোকাম্মেল হায়াত খান ওরফে মুকিত ও নুরুল ইসলাম ওরফে সাগরকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া পাঁচজনকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

পরে ২০০৬ সালের ১০ মার্চ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিনজনের সাজা কমিয়ে তাঁদেরও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন উচ্চ আদালত। পাশাপাশি যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া পাঁচ আসামির মধ্যে দুজনকে খালাসও দেওয়া হয়। ওই হত্যাকাণ্ডে দণ্ডিত ছয় আসামির মধ্যে চারজন কারাগারে আছেন। মোকাম্মেল ও নুরুল এখনো পলাতক।

আরেক আসামি মুশফিক উদ্দিন টগর কারাভোগের পর বর্তমানে মুক্ত  হয়েছেন।
সনির বাবা হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া মেয়ের হত্যাকারীদের বিচারের পাশাপাশি সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষাঙ্গনের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলেন। ২০২২ সালে সনির ২০ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বুয়েট ক্যাম্পাসে সনির স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানোর সময় অন্যদের সঙ্গে সনি হত্যার দিনটিকে (৮ জুন) ‘সন্ত্রাসমুক্ত’ শিক্ষাঙ্গন দিবস হিসেবে ঘোষণা করার দাবি করেছিলেন বাবা।

এরপর থেকে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা সনি হত্যার দিনটিকে ‘সন্ত্রাসবিরোধী দিবস’ হিসেবে পালন করেন। এ ছাড়া সনি মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকেও সনির মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার যোগাযোগ করা হলে সনির ভাই মাকছুদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, পেশাদার সন্ত্রাসীদের গুলিতে তার বোন খুন হয়েছিলেন। হত্যাকাণ্ডের এত বছর পরও দুই খুনি গ্রেপ্তার হলো না। তাদের এখন একটাই চাওয়া হত্যাকাণ্ডের প্রধান দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে মামলার রায় যেন দ্রুত বাস্তবায়ন করা হয়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটেগরীর আরো খবর
© 2024  All rights reserved by Desheralo.com
Customized BY NewsTheme