1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Shahriar Rahman : Shahriar Rahman
  3. [email protected] : Jannatul Naima : Jannatul Naima

কাশিমপুর কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ৩ আসামি গ্রেপ্তার

  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া হত্যা মামলায় ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১। নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার ও মুন্সীগঞ্জ সদরের চরমুক্তারপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে র‌্যাবের মিডিয়া অফিসার এএসপি সনদ বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তাররা হলেন— আড়াইহাজারের নয়াগাঁও এলাকার সুরুজ মিয়ার ছেলে মোসাদ্দেক ওরফে সাদেক আলি (৩২), ইউনুস আলির ছেলে মো. জাকারিয়া (৩২), মুন্সীগঞ্জ সদরের চরমুক্তারপুর এলাকার হাজি কামাল দেওয়ানের ছেলে মো. জুলহাস দেওয়ান (৪৫)।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সনদ বড়ুয়া জানান, গত ৬ আগস্ট বিকেলে কাশিমপুর কারাগারের ভেতরে থাকা বন্দিরা বিদ্রোহ শুরু করলে কারারক্ষীরা তাদের নিবৃত করার চেষ্টা করেন। তখন বন্দিরা কারারক্ষীদের ওপর চড়াও হয়। দাঙ্গা-হাঙ্গামার মধ্যে কিছু বন্দি দক্ষিণ অংশের পেরিমিটার দেয়াল ভেঙে গর্ত করতে থাকলে তাও প্রতিহত করা হয়।

এ সময়ে অন্যদিকে কারা অভ্যন্তরের বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে ফেলে মই বানিয়ে পশ্চিম দিকের দেয়াল টপকে দুপুর ১টা থেকে দুপুর ২টার মধ্যে ২০৩ জন বন্দি পালিয়ে যায়। এ সময় বুলেট ইনজুরিতে ৬ জন বন্দি মারা যায়। কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া মৃত্যুদণ্ডের আদেশপ্রাপ্ত পলাতক আসামিরা দেশে বিশৃঙ্খলা ও সামাজিক অপরাধ করতে পারে বিধায় তাদের গ্রেপ্তার করতে নজরদারি বৃদ্ধি করে র‌্যাব-১১ গোয়েন্দা দল। এ ধারাবাহিকতায় র‌্যাবের একটি চৌকস আভিযানিক দল ৪ সেপ্টেম্বর তাদের গ্রেপ্তার করে।

তিনি আরও জানান, আসামি মোসাদ্দেক ও জাকারিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ২০০৮ সালে আড়াইহাজারের নয়াগাঁও এলাকায় বারেক চৌধুরী নামক এক ব্যক্তির বাড়িতে হাঁস ও মুরগি চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বারেক চৌধুরীর বাড়িতে একটি সালিশ হয়।

সালিশে শামীম ভূঁইয়া, মোসাদ্দেক আলী ও জাকারিয়া চুরির সঙ্গে জড়িত বলে একই গ্রামের ফজলুল মোল্লার ছেলে মো. শামীম সাক্ষ্য দেন। চুরির সাক্ষী দেওয়ার কারণে ক্রোধের বশবর্তী হয়ে শামীমকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। ২০০৮ সালের ২৯ মার্চ রাতে আসামি শামীম ভূঁইয়া, মোসাদ্দেক ও জাকারিয়া মিলে ভিকটিম শামীমকে নয়াগাঁও গ্রামের পারিবারিক গোরস্তানে ডেকে নিয়ে হাত-পা চেপে ধরে ছুরি দিয়ে গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত হলে লাশ ফেলে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে ৩০ মার্চ আড়াইহাজার থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় ২০১৩ সালের ১২ জুন নারায়ণগঞ্জ দায়রা জজ আদালত আসামিদের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন। রায়ের পর একই মাসের ১৮ জুন তাদের নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

অন্য আসামি মো. জুলহাস দেওয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৩ অক্টোবর নিজের ৫ বছরের শিশুসন্তান সাহাদকে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে নিয়ে যান। এরপর থেকে বাবা ও ছেলে নিরুদ্দেশ হন। তিন দিন পর বাবা জুলহাস দেওয়ানের সন্ধান মেলে। ছেলের কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি জবাব দেন, হারিয়ে গেছে। তার কথা সন্দেহ হলে তাকে মুক্তারপুর পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তিনি ছেলেকে হক্যার কথা স্বীকার করেন। বাবার স্বীকারোক্তিতে ১৬ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জের কয়লাঘাটা এলাকায় একটি মুরগির ফার্মের পাশে ডোবা থেকে সাহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনার স্ত্রী তানিয়া বেগম বাদী হয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। দাম্পত্য কলহের জের ধরে নিজের নিজের সন্তানকে হত্যা করার তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে মুন্সীগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত ১০১৮ সালের ৯ অক্টোবর ২০১৮ জুলহাস দেওয়ানকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন। পরে তাকে নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে একই বছরের ২৬ নভেম্বর কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

উল্লেখ্য, নিজের ছেলে হত্যা ছাড়াও তারা বিরুদ্ধে মুন্সীগঞ্জ সদরসহ বিভিন্ন থানায় ৭টি মামলা রয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটেগরীর আরো খবর
© 2024  All rights reserved by Desheralo.com
Customized BY NewsTheme