সরকার ও নাগরিকের মধ্যে অংশীদারিত্ব তৈরি হলে নাগরিক সমস্যা সমাধান সহজ হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নগর ভবনের সামনে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন এলাকায় বসবাসরত মানুষের যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলার অভ্যাস পরিহারে জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে বর্জ্য প্রদর্শনী পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। এ সময় তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সরকার তার কাজ করবে কিন্তু নাগরিককে তার দায়িত্বের জায়গা থেকে ভূমিকা রাখতে হবে। নাগরিক অধিকার যেমন সংরক্ষণের বিষয় আছে, তার দায়িত্ব পালনেরও বিষয় আছে। নাগরিক তার দায়িত্বের জায়গা থেকে নিজ দায়িত্ব পালন করলে সরকার আর নাগরিকের মধ্যে একটা অংশীদারিত্ব তৈরি হয়। তখন সমস্যাগুলো অনেক সহজে দূর হয়।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ঢাকায় অল্প বৃষ্টি হলে অনেক সময় পানি জমে যায়। এসব এলাকায় ড্রেনেজ লাইনে বিভিন্ন ধরনের বোতল, চিপস এর প্যাকেটসহ অন্যান্য বর্জ্য পড়ে থাকে। খালের মধ্যে জাজিম, সোফা, ফ্রিজ, পানি পরিশোধকসহ বড় বড় পরিত্যক্ত জিনিসপত্র পড়ে থাকে। তার কারণে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। এসব বর্জ্য যাতে যত্রতত্র ফেলা না হয়, সে জন্য ব্যাপকভাবে জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও যোগ করেন, জনসচেতনতা তৈরির জন্য ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য প্রদর্শনী চমৎকার একটি উদ্যোগ। এ কর্মসূচিতে স্কুলের শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করায় তাদের মধ্যে একটা সচেতনতাবোধ তৈরি হবে এবং তারা এ বিষয়গুলো সমাজের বিভিন্ন জায়গায় বলতে পারবে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের পাশাপাশি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এ জনসচেতনতা তৈরির এ উদ্যোগের সাথে সম্পৃক্ত আছে। শুধু বাংলাদেশ সরকার নয়, আওয়ামী লীগ দলগতভাবে এ উদ্যোগের সাথে আছে।
এ সময় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণ উপস্থিত ছিলেন।