বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগ দাবি করেছেন।
নৈতিক অধিকার হারানোর অভিযোগ:
বাবুল বলেন, “আসিফ মাহমুদ অনেক আগেই তার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন। তাকে ঘিরে রয়েছে নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ।”
ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সুবিধাভোগ:
বাবুলের দাবি, আসিফ মাহমুদ তার বাবার নামে দ্রুত লাইসেন্স অনুমোদন করিয়েছেন এবং তার এপিএসের বিরুদ্ধে রয়েছে শত শত কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ।
পক্ষপাতিত্ব ও নিয়োগে স্বজনপ্রীতি:
তিনি অভিযোগ করেন, আসিফ মাহমুদ নিজের ঘনিষ্ঠ লোকদের ঢাকা সিটি কর্পোরেশন, ওয়াসা, এলজিইডি-সহ গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়েছেন।
একাধিক বিতর্কিত ব্যক্তি, এমনকি হিজবুত তাহরীর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকেও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন।
নির্বাচন কমিশন গঠনে অনিয়ম:
তিনি বলেন, “বর্তমান নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে পুরনো আইনের ভিত্তিতে, যা জনআস্থার জায়গা থেকে প্রশ্নবিদ্ধ।”
বিএনপির আন্দোলনে জনসাড়া থাকলেও, এনসিপি’র কর্মসূচিতে প্রতিক্রিয়া নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
“আসিফ মাহমুদ আদর্শ শিক্ষকের সন্তান হয়েও নিজের কর্মকাণ্ডে তার মর্যাদা ধরে রাখতে পারেননি। তার হাতে এখন তিনটি বড় পদ – এটা অগ্রহণযোগ্য।”
বাবুল হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি নির্বাচন কমিশন ও সরকার আগের মতোই থাকে, তাহলে কোনোভাবেই “লেভেল প্লেইং ফিল্ড” নিশ্চিত হবে না। সেক্ষেত্রে নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা হারাবে এবং জনগণের আস্থা ফেরাতে পদক্ষেপ নিতে হবে।