“মেয়েকে নির্যাতন থেকে মুক্তির জন্য বাড়িতে রাখলাম। আর আমার বাড়িতেই মেয়েকে মেরে ফেলল।”
নাটোরের বড়াইগ্রামে এক গৃহবধূর খাটের পায়ার সঙ্গে বেঁধে রাখা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী লাপাত্তা বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সোমবার সন্ধ্যায় বড়াইগ্রামের রয়না ভরট উত্তরপাড়া এলাকা থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানান বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক মো. সিরাজুল ইসলাম।
নিহত আঁখি খাতুন (২২) ওই এলাকার আশরাফুল ইসলামের মেয়ে। তার স্বামী মো. ইসমাইল হোসেন (২৫) নাটোর সদরের হাজড়া এলাকার তাইজুল মিস্ত্রির ছেলে। ওই দম্পতি আশরাফুল ইসলামের বাড়িতেই থাকতেন।
নিহতের বাবা আশরাফুল ইসলাম বলেন, “দুই বছর আগে ইসমাইলের সঙ্গে আঁখির বিয়ে হয়। এরপর থেকেই আঁখিকে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করত তাইজুল। তাই মেয়েকে বাঁচাতে দুজনকে নিজেদের বাড়িতে নিয়ে আসি। তাও মাঝে মাঝে মারতো।
“এবার মেয়েটাকে মেরে খাটের সঙ্গে বেঁধে রেখে ঘরে তালা দিয়ে চলে দিয়ে চলে গেছে ইসমাইল। মেয়েকে নির্যাতন থেকে মুক্তির জন্য বাড়িতে রাখলাম। আর আমার বাড়িতেই মেয়েকে মেরে ফেলল।”
মেয়েকে হত্যার দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন আশরাফুল।
পরিদর্শক সিরাজুল বলেন, “পারিবারিক কলহের জেরেই আঁখি খাতুনকে তার স্বামী হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে। জানার পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।”
নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ইসমাইল হোসেনকে গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।
এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।