“মদদপুষ্ট কিছু সন্ত্রাসী হাইকমিশনে হামলা চালিয়েছে এবং জাতীয় পতাকা পুড়িয়েছে; এতে স্পষ্টতই জেনেভা কনভেনশন লঙ্ঘন হয়েছে”, বলেন সমন্বয়ক ফাহিম রেজা।
ভারতের ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে হামলার ঘটনার প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সোমবার রাতে মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন আবাসিক হলের পাশে রাস্তা, বিনোদপুর গেইট থেকে কাজলা প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।
এ সময় শিক্ষার্থীদের ‘আপস না মৃত্যু, মৃত্যু মৃত্যু’, ‘অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘মোদির বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘উগ্রবাদের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘দিল্লী না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’ বলে স্লোগান দিতে দেখা যায়।
হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক ফাহিম রেজা বলেন, “মদদপুষ্ট কিছু সন্ত্রাসী আমাদের হাইকমিশনে হামলা চালিয়েছে এবং জাতীয় পতাকা পুড়িয়েছে। এতে স্পষ্টতই জেনেভা কনভেনশন লঙ্ঘন হয়েছে।
“সেইসঙ্গে ঘটনাটিকে ভারতীয় সরকারের মদদপুষ্ট হামলা বলে আমরা চিহ্নিত করছি; যা এদেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বের জন্য আঘাত। আমরা এ ঘটনার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা ও তদন্ত চাই।”
বিক্ষোভে শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।সোমবার দুপুরের দিকে আগরতলায় সহকারী হাই কমিশন প্রাঙ্গণে ঢুকে হামলা চালানোর খবর দিয়েছে ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও বিবিসি বাংলা। সেখানে পতাকার পোল ভেঙে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নামিয়ে ফেলার ঘটনাও ঘটেছে বলে সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পরে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়।
‘হিন্দু সংঘার্ষ সমিতি’ নামের ডানপন্থি একটি সংগঠনের আহ্বানে হাই কমিশনে ব্যাপক বিক্ষোভের পর হামলা চালানো হয় বলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে। ঘটনাটিকে ‘দুঃখজনক’ বলেছে ভারত সরকার।
বাংলাদেশ সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার ও কারাগারে পাঠানোর নিন্দা জানিয়ে ওই বিক্ষোভ হয়।
এ ঘটনার পর কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও।