‘বাংলাদেশের ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবস্থান বদলায়নি’ মন্তব্য করায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল কী করে জানলেন যুক্তরাষ্ট্র তার আগের অবস্থানে রয়েছে? মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডনাল্ড লু’র বক্তব্য পরিষ্কার। তিনি যে কথা বলেছেন, এরপর ফখরুল সাহেবের বক্তব্যের কোনো মূল্য নেই। এখানে আর মন্তব্য করারও প্রয়োজন পড়ে না। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এখান থেকেই প্রশ্নের উত্তর বের করুন। আমি নতুন কোনো উত্তর দিতে চাই না। যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থানের কথা বলেছে। গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে রহমতে আলম ইসলাম মিশন এতিমখানায় সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে সুষম খাবার বিতরণের এ আয়োজন করে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই বাংলাদেশের ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এর আগে যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা নিজেদের ভাগ্য আর পকেটের উন্নয়ন করেছে। আর শেখ হাসিনার সততা সারা বিশ্বে আজ প্রশংসনীয়।
তিনি বলেন, গত ৪৩ বছরের সবচেয়ে সাহসী নেতা ও সৎ রাজনীতিকের নাম বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। গত ১৫ বছরে উন্নয়ন অর্জন ও আধুনিকতায় বাংলাদেশ বদলে গেছে। ১৫ বছর আগের বাংলাদেশ, আর এখনকার বাংলাদেশ কোনো মিল নেই। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন আসলে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রত্যাবর্তন, স্বাধীনতার আদর্শের প্রত্যাবর্তন, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধের প্রত্যাবর্তন। শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনি জয় বাংলার প্রবর্তন। তিনি ফিরে এসেছিলেন বলেই গণতন্ত্র শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছে। যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন হয়েছে। মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু হয়েছে। পাহাড়- সমতল সর্বত্রই উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। যারা এসব অস্বীকার করে তারা দিনের আলোতে অন্ধকার দেখা। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন করেছেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, শেখ হাসিনার সততা আজ সারা বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে। এই বয়সেও যিনি সাড়ে তিন ঘণ্টা ঘুমান। তিনি দুপুরের খাবার সন্ধ্যার পর খাচ্ছেন। এভাবে তিনি দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন করছেন। নেত্রীর জন্য সবাই দোয়া করবেন। শেখ হাসিনার শতবর্ষের আয়ু প্রার্থনা করে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, তিনি (শেখ হাসিনা) থাকলে বাংলাদেশ থাকবে। আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম প্রমুখ।